উৎপাদন বাড়াবে মেঘনা সিমেন্ট

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ঘোষিত ১০ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়। আগামী বছরে নতুন প্রকল্প স্থাপনের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়াতে যাচ্ছে কম্পানিটি। নতুন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বছরে ২০ লাখ মেট্রিক টন সিমেন্ট উৎপাদন ও বাজারজাত করতে পারবে কম্পানিটি।
গতকাল বুধবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) পুষ্পগুচ্ছ হলে কম্পানির ২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বাগত ও সমাপনী বক্তব্য দেন বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা এ আর রশিদী। এজিএমে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বতন্ত্র পরিচালক খাজা আহমেদুর রহমান, পরিচালকমণ্ডলীর পক্ষে ময়নাল হোসেন চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) মাহবুব হায়দার খান, মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব-উজ-জামান, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মো. তোফায়েল হোসেন ও কম্পানি সচিব এম নাসিমুল হাই প্রমুখ।
তিনি বলেন, দেশের সিমেন্ট শিল্প সামগ্রীর বাজার বিশ্বের মধ্যে ৪০তম। সিমেন্ট অন্যান্য নির্মাণসামগ্রী উৎপাদনে বাংলাদেশ এরই মধ্যে স্বনির্ভরতা অর্জন করেছে। দেশে চাহিদার চেয়ে বেশি সিমেন্ট উৎপাদন হলেও মানসম্পন্ন সিমেন্টের বিপুল চাহিদা রয়েছে। এ কথা বিবেচনায় রেখে মেঘনা সিমেন্ট কম্পানি উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
নতুন ব্যাবসায়িক উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডেনমার্কের একটি কম্পানির কাছ থেকে ভাটিক্যাল রোলার মিল (ভিআরএম) মেশিন আমদানির চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এতে ব্যয় হবে ২৪৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এটি বাস্তবায়ন করা হলে, তা হবে কম্পানির তৃতীয় বৃৃহত্তম সিমেন্ট কারখানা। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে এ প্রকল্পটি চালু করা যাবে বলে আমরা আশা করছি। এটি চালু হলে বছরে ২০ লাখ মেট্রিক টন সিমেন্ট উৎপাদন ও বাজারজাত করা যাবে।’
সভায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরের কম্পানির বার্ষিক প্রতিবেদন, নিরীক্ষিত আর্থিক হিসাব বিবরণী, প্রতিবেদন অনুমোদন দেওয়া হয়। একই সঙ্গে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার অনুমোদন হয়। বার্ষিক সাধারণ সভায় ৩৫ জন শেয়ারহোল্ডারও বক্তব্য দেন।