জমে উঠেছে শিরোপার লড়াই

নতুন মোড় নিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের শিরোপা লড়াইয়ে। শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের সঙ্গে চট্টগ্রাম আবাহনীর ড্রয়ে জমে উঠেছে বিপিএল। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গতকাল রোমাঞ্চকর এক ম্যাচ হয়েছে। চার গোলের ম্যাচে কেউই জেতেনি। শিরোপাপ্রত্যাশী চট্টগ্রাম আবাহনীকে ২-২ গোলে রুখে দিয়েছে শেখ রাসেল। এ ড্রয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে বড় ধাক্কা খেল সাইফুল বারী টিটোর দল। ১৫ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে চট্টলার আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। সমান ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে লিডার বোর্ডের পাঁচে আছে রাসেল। এক ম্যাচ কম খেলা শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের পয়েন্ট ৩৩। আজ রহমতগঞ্জের বিপক্ষে জিতলে শীর্ষে উঠে যাবে ধানমণ্ডি পাড়ার ক্লাবটি। আরেক ম্যাচে টিম বিজেএমসিকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। ১৫ ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট ৩৩।
প্রথম লেগে চট্টগ্রাম আবাহনীর সামনে দাঁড়াতেই পারেনি শেখ রাসেল। হেরেছিল ৩-১ গোলে; কিন্তু এ দিন ভিন্নরূপে দেখা যায় রাসেলকে। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমানতালে লড়াই করেন তারা। শুরুতে লিডও নেয় শেখ রাসেল। ম্যাচের ছয় মিনিটে মোনায়েম খান গোল করলে উল্লাসে মেতে ওঠে তারা। বিরতির আগেই অবশ্য গোল পরিশোধ করে চট্টগ্রাম আবাহনী। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে আবদুল্লাহর অ্যাসিস্টে গোল করেন লিওনেল সেইন্ট। বিরতির পর জমে ওঠে খেলা। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল সাইফুল বারী টিটোর দলই। বল দখলে রেখে গোছানো আক্রমণ শানায় জাহিদ হোসেনের দল। আকাশি-নীল জার্সিধারীদের হয়ে আলো ছড়ান জাহিদ। তার কয়েকটি প্রচেষ্টা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। জাহিদের ফ্রি-কিকগুলোও ছিল ভয়ঙ্কর। সেই জাহিদই এগিয়ে নেন চট্টগ্রাম আবাহনীকে। আবারও গোল করিয়ে নায়ক আবদুল্লাহ। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে তার অ্যাসিস্টে গোল করে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান জাহিদ।
ম্যাচের বাকি তখনও মাত্র সাত মিনিট। চট্টগ্রাম আবাহনী শিবিরে আগাম জয় উদযাপন। জিতলেই পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের শীর্ষস্থানটা আরও মজবুত করবে বন্দরনগরীর দলটি। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হতে বাকি আর মাত্র দুই মিনিট। এগিয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম আবাহনীর খেলার ধার কমে আসে। সে সুযোগটা কাজে লাগায় শেখ রাসেল। বলা যায়, শেষ মুহূর্তে চমক দেখায় তারা। ৮৮ মিনিটে বণিকের সহায়তায় দারুণ এক গোল করে রাসেলকে সমতায় ফেরান ফ্রান্সিস। প্রথম লেগে হারের বদলা নিতে না পারলেও এ ড্রটা রাসেলের কাছে অনেক কিছু। অন্যদিকে জিততে না পারার হতাশায় সবুজ গালিচায় শুয়ে পড়েন চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবলাররা। ডাগআউটে দাঁড়ানো কোচ টিটোও চুপ হয়ে যান।
বিজেএমসির বিপক্ষে শুরুতে আবাহনীকে এগিয়ে নেন নাসির উদ্দিন। ১২ মিনিটে তার গোলের পর ৩২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সানডে চিজোবা। ৪৯ মিনিটে বিজেএমসির হয়ে কিংসেলে এক গোল পরিশোধ করেন। তবে ৭০ মিনিটে ইমনের পর এমেকার গোলে জয় নিশ্চিত হয় আবাহনীর।