টেকসই স্থাপনা নির্মাণে দরকার দীর্ঘস্থায়ী কংক্রিট

টেকসই স্থাপনা নির্মাণের লক্ষ্যে দীর্ঘস্থায়ী কংক্রিট প্রস্তুত করতে সঠিক সিমেন্ট বাছাইয়ের ওপর জোর দিচ্ছেন কংক্রিট বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে ভিশন ২০২১, ভিশন ২০৪০ বাস্তবায়নে দীর্ঘস্থায়ী কংক্রিটের ওপর জোর দিতে হবে প্রকৌশলীদের। সরকারি বেসরকারি সব ধরনের অবকাঠামো নির্মাণেই উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি গুণগত মানসম্পন্ন বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহারের আহ্বান জানান তাঁরা। গত শনিবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে ‘দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই কংক্রিট দিয়ে বাংলাদেশ গড়ুন’ শীর্ষক এক কারিগরি সেমিনারে দেশের কংক্রিট বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। শীর্ষ ব্যবসায়ী গোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা সিমেন্টের টেকনিক্যাল সাপোর্টে ওই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে বক্তারা পদ্মা বহুমুখী সেতু, ঢাকা এলিভেটেড এক্সেপ্রেসওয়ে, মেট্রো রেল, রূপপুর পারমাণবিক তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রসহ চলমান বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্পের স্থাপনা নির্মাণে বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহারে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এতে প্রকল্পগুলোর স্থায়িত্ব বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের (ইউএপি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, ২০২১, ২০৪০ সালকে সামনে রেখে আমাদের অনেক ভিশন রয়েছে, এগুলো বাস্তবায়নে একটি মুখ্য ভূমিকা রাখবে অবকাঠামো। কিন্তু আমাদের দেশের অবকাঠামোগুলো খুবই দুর্বল। গ্লোবাল ইনডেক্সগুলো দেখলে, গ্রিন বিল্ডিং ইনডেক্সে দেখা যায় বাংলাদেশ একেবারে নিচের দিকে আছে। এই জায়গাটিতে কংক্রিটের ভূমিকা ও সিমেন্টের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
ড. জামিলুর বলেন, নির্মাণশিল্প বিশ্বে পরিবেশ দূষণকারী শিল্প বলা হয়। বিশেষ করে প্রচুর কার্বন নিঃসরণ হয়। কংক্রিটের ব্যবহারের ক্ষেত্রে যত কম উপাদান ব্যবহার করা যায়, পুনরায় ব্যবহার করা যায় এমন উপাদান এবং রিসাইক্লিং করা যায় এমন উপাদান ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি। সিমেন্ট উৎপাদনে সাশ্রয়ী জ্বালানি ব্যবহারেও পরামর্শ দেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ারস বাংলাদেশের (আইইবি) সাবেক সভাপতি ড. শামীম জেড বসুনিয়া। এ সময় তিনি উচ্চমানের কংক্রিট নির্মাণ, কংক্রিটের বিভিন্ন উপাদানের গুণগত মান, কংক্রিটের স্থায়ীত্বের ওপর অ্যাডমিক্সারের ভূমিকা, সঠিক মানের সিমেন্ট নির্বাচন কৌশল-প্রক্রিয়া এবং কংক্রিটে সিমেন্টের ভূমিকা ও সিমেন্টের কেমিক্যাল কম্পোজিশনসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন বসুন্ধরা গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (সিমেন্ট সেক্টর) প্রকৌশলী এ কে এম মাহবুব-উজ-জামান। সেমিনারে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা সিমেন্টের হেড অব ডিভিশন (সেলস) খন্দকার কিংশুক হোসেন, বসুন্ধরা সিমেন্টের টেকনিক্যাল সাপোর্টের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) সরোজ কুমার বড়ুয়া, বসুন্ধরা গ্রুপের ডিজিএম প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান, ম্যানেজার প্রকৌশলী কুদরত-ই-ইলাহী, এজিএম আশিকুর রহমান আশিক, এজিএম সেলস পলাশ আক্তার, মার্কেটিং ফাংশনের ম্যানেজার মো, সাইফুল ইসলাম রুবেল প্রমুখ।