পাবনায় ৭০০ রোগী পেল বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা

প্রায় ৭০০ রোগীকে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দিলেন বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পাবনার বেড়া উপজেলার মাসুমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ‘বিনা মূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পে’ এই সেবা দেওয়া হয়।
বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, এসএনএডি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ও ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে, বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় এবং মাসুমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে ক্যাম্পে চক্ষু, জন্মগত ঠোঁট ও তালু কাটা এবং শিশুদের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রোগীরা বিনা মূল্যে ব্যবস্থাপত্র ও ওষুধ নেয়। এ সময় অস্ত্রোপচারের (অপারেশন) জন্য বাছাই করা রোগীকে ঢাকায় নিয়ে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
জন্মগত ঠোঁট কাটা ও তালু কাটা রোগের চিকিৎসা দেন চিকিৎসক ইমরুল হাসান, আরসি ও মফিদুল ইসলাম। একই সঙ্গে শিশুদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয় বলে জানান এসএনএডি ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল রাশেদ রহিম।
ক্যাম্পে চিকিৎসাসেবা দেন বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক এম এ খালেক। তিনি বলেন, ‘বিনা মূল্যে চোখের চিকিৎসাসেবা দেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য। আমরা সারা দেশেই এ ধরনের ক্যাম্পের আয়োজন করে থাকি। রোগীদের সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে ওষুধ দেওয়াসহ চোখের অপারেশন করানো হয়ে থাকে।’
এ বিষয়ে আয়োজনকারী মাসুমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরোজ হোসেন বলেন, ‘আমাদের এলাকাটি জেলা শহর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে। এ জন্য এলাকাবাসীর বেশির ভাগ নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকে। তাই এলাকাবাসীর স্বাস্থ্যসেবার জন্য এই আয়োজন মহতী উদ্যোগ। এই এলাকার সাত শতাধিক রোগী চিকিৎসাসেবা পাওয়ায় তারা খুশি এবং বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
মাসুমদিয়ার ফজলুর রহমান জানান, তাঁর বাবা দীর্ঘদিন ধরে চোখের রোগে ভুগছেন। তাঁকে পাবনা ও সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন চক্ষু হাসপাতালে দেখানো হয়েছে। তাঁর চোখে অস্ত্রোপচার করা প্রয়োজন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। বসুন্ধরা চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পে এলেও চিকিৎসকরা তাঁর অস্ত্রোপচারের কথা বলেন। চিকিৎসকরা বলেছেন, ঢাকায় বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনা মূল্যে তাঁর চোখের অস্ত্রোপচার করা হবে। বিষয়টি আনন্দের।