বসুন্ধরা এলপি গ্যাস ও সিলিন্ডারের দাম কমল

২০১১-১২ অর্থবছরের বাজেটে সরকার এলপি গ্যাসের ওপর পাঁচ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার ও সিলিন্ডার উৎপাদনের কাঁচামালের ওপর শুল্ক তিন শতাংশ নির্ধারণ করায় ‘বসুন্ধরা এলপি গ্যাস ও সিলিন্ডার’-এর দাম কমাল দেশের বৃহত্তম শিল্পোদ্যোক্তা পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপ। একই সঙ্গে প্রস্তাবিত বাজেটে দেশীয় এলপি গ্যাস ও সিলিন্ডার-শিল্পের গুরুত্ব বিবেচনা করায় সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান এফসিএ।
গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি জানান, আগামী অর্থবছরের বাজেটে সরকার এলপি গ্যাস ও সিলিন্ডারের কাঁচামালের ওপর শুল্ক কমানোর ফলে বসুন্ধরা ১২ কেজির প্রতি সিলিন্ডার গ্যাসের জন্য ২০ টাকা কমিয়ে এক হাজার ১৮০ এবং ৪৫ কেজির প্রতি সিলিন্ডার গ্যাসের জন্য ৭৫ টাকা কমিয়ে চার হাজার ১২৫ টাকা নির্ধারণ করেছে। একইভাবে বসুন্ধরা এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ২০০ কমিয়ে দুই হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান আরও জানান, দেশে এখন বছরে প্রায় ৫০ লাখ এলপিজি সিলিন্ডার চলছে। এ খাতে সরকারি সহায়তা অব্যাহত থাকলে প্রায় পাঁচ কোটি সিলিন্ডারে উন্নীত করা যাবে। আর এটা করতে প্রয়োজন উদ্যোক্তাদের পাশে সরকারের নীতিগত সমর্থন ও সহায়তা।
তিনি এলপিজি সিলিন্ডারের কাঁচামালের ওপর আরোপিত তিন শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার ও গ্যাসের ওপর পাঁচ শতাংশ অতিরিক্ত আয়কর (এআইটি বা অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স) কমানোর দাবি করেন। তিনি জানান, দেশে এলপিজি সিলিন্ডার ও গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন ক্ষমতার ২০ থেকে ২৫ ভাগ ব্যবহার হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশীয় এলপি গ্যাস এবং সিলিন্ডার-শিল্পে আরও সরকারি সহযোগিতা ও প্রণোদনা পেলে উদ্যোক্তারা ১০০ ভাগ উৎপাদন ক্ষমতা ব্যবহার করে দেশের সম্পূর্ণ চাহিদা মেটাতে সক্ষম। তাতে একই সঙ্গে দেশের জ্বালানি সংকটও নিরসন হবে বলেও মত দেন তিনি।