মালদ্বীপের চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি কিংস

বসুন্ধরা কিংসের পছন্দ ছিল নিরপেক্ষ ভেন্যু। মালদ্বীপের দুটি ক্লাব ভেন্যু হওয়ার আবেদন করায় সেই পছন্দ বাদ দিয়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নদের এখন খেলতে হবে মালেতে গিয়ে। গ্রুপের পাঁচ ম্যাচ হবে মালের দুটি ভেন্যুতে। এএফসি এরই মধ্যে জানিয়েছে, মালের দুই ভেন্যুতে ২৩ অক্টোবর থেকে ‘ই’ গ্রুপের খেলাগুলো শুরু হবে।
চিরাচরিত নিয়মে খেলা শুরু হয়েছিল হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে। কিন্তু করোনার কারণে চার দলের একটি করে ম্যাচের পরই তা স্থগিত হয়ে যায়। বিরতির আগে মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে দারুণ শুরু করেছিল বসুন্ধরা কিংস। এর পরই বিরতি এবং অক্টোবরে বাকি ম্যাচগুলো মালেতে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এএফসি, যদিও বসুন্ধরার দাবি ছিল নিরপেক্ষ ভেন্যুর। তবে বসুন্ধরা কিংস প্রেসিডেন্ট ইমরুল হাসান এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় ভেন্যু হওয়ার জন্য ১৭ জুলাই পর্যন্ত আবেদনের তারিখ ছিল, শুধু মালদ্বীপই আবেদন করেছে। তাই ওরাই এখন স্বাগতিক। তবে কভিডের কারণে আমরা সাহস করতে পারিনি, নইলে এখানে অনেক সুন্দর আয়োজন করতে পারতাম।’
মালদ্বীপ নিয়ে প্রতিপক্ষের মুখে অনেক অভিযোগ শোনা যায়। অতিথি দলগুলোকে তারা অনেক দূরে রাখে এবং ম্যাচের আগে স্পিডবোটে করে সাগর পাড়ি দিয়ে আনে ম্যাচ ভেন্যুতে। তাতেই ম্যাচের আগে এক দফা কাহিল হয়ে পড়ে প্রতিপক্ষ। এই ভোগান্তিতে পড়েছিল ঢাকা আবাহনী। এসব নিয়ে সতর্ক বসুন্ধরা কিংস। তাদের আরেকটি সুবিধা হলো, এই মালদ্বীপ ভীষণ চেনা কিংস কোচ অস্কার ব্রুজোনের। এই স্প্যানিশ ফুটবল কোচ মালদ্বীপের ক্লাবে কোচিং করিয়েছেন দুই বছর। তাঁর অধীনেই সেপ্টেম্বরে অনুশীলন শুরু করবে কিংস।
এএফসির নির্দেশনা অনুযায়ী খেলা শুরুর চার দিন আগে মালদ্বীপে পৌঁছাতে হবে দলগুলোকে। অতিথি দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে করে নিয়ে যেতে হবে কভিড পরীক্ষার কাগজপত্র। পৌঁছানোর পর মালদ্বীপ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে পরীক্ষা করানো হবে আবার। ১৩ দিনেই পাঁচ ম্যাচ করে খেলতে হবে প্রত্যেক দলকে। আর মালদ্বীপ সফরের জন্য প্রত্যেক অতিথি দলকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে এএফসি। যাতায়াতের জন্য ৪০ হাজার ডলার ও থাকা-খাওয়া বাবদ ৯০ হাজার ডলার দেবে তারা।