রোমাঞ্চকর ম্যাচে জয় শেখ জামালের

১০ গোলের রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে শেখ জামাল ৬-৪ গোলে হারিয়েছে আরামবাগকে। এই জয়ে ১৬ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে জামাল। দিনের অন্য ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী ১-০ গোলে রহমতগঞ্জকে হারিয়ে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পয়েন্ট তালিকায়।
প্রথম লেগে শেখ জামালের কাছে ৩-১ গোলে হারা আরামবাগ ফিরতি লেগে দারুণ লড়াই করে। গোলের জবাব দিয়েছে পাল্টা গোলে। আক্রমণ শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে গেছে পাল্টা আক্রমণ। আট মিনিটে শেখ জামালকে এগিয়ে নেন রাফায়েল। ১৬ মিনিটে সেই গোল শোধ করেন আরামবাগের রবিউল হাসান। এবার এগিয়ে যায় আরামবাগ। ২২ মিনিটে শাহরিয়ার বাপ্পীর নিরীহ শটে, গোলরক্ষক সামিউল ইসলাম নড়েছেন দেরিতে। এই লিডও টেকেনি, ৪০ মিনিটে সমতায় ফেরান রাফায়েল। মিনিট তিনেক বাদে আবার সুমন আলীর গোলে আরামবাগ এগিয়ে গেলেও প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে ওই গোল শোধ করে নাইজেরিয়ান রাফায়েল নিজের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক সেরে ফেলেন। এর আগে ফরাশগঞ্জের বিপক্ষে করেছিলেন প্রথম হ্যাটট্রিক। তবে কাল হ্যাটট্রিকের গোল নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। আরামবাগ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মোমিনুল হক সাঈদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় রেফারি সুজিত ব্যানার্জির। পরে অবশ্য মাঠের বিতর্ক মাঠেই থামে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে আরামবাগ আর গোলের ধারা বজায় রাখতে পারেনি। ৪৮ মিনিটে এগিয়ে যায় সলোমন কিংয়ের গোলে। এগিয়ে যাওয়া জামাল গোলের মিছিল অব্যাহত রেখে ৯০ মিনিটের মধ্যে আরো ২ গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় ৬-৩ গোলের। ৫৭ মিনিটে নুরুল আবসারের গোলের পর ৯০ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেছেন সলোমন। ইনজুরি টাইমে আরামবাগকে ফিরিয়েছেন নাইজেরিয়ান বুকোলা।
ম্যাচের শুরু থেকেই চট্টগ্রাম আবাহনীর চাপে রহমতগঞ্জ। রক্ষণাত্মক ফুটবল খেললেও বারবার খুলে যাচ্ছিল গোলমুখ। ২০ মিনিটে সুশান্তের ক্রসে পা ছোঁয়াতে পারেননি পোস্টের সামনে দাঁড়ানো তৌহিদ। চার মিনিট বাদেই সোহেল রানার শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান রহমতগঞ্জ গোলরক্ষক। ৩৬ মিনিটে জাহিদের ফ্রি কিক ঠেকিয়ে দেয় ক্রসবার। ৭০ মিনিটে লিওনেল প্রেক্স তিনজনকে বডিডজে ছিটকে ফেলে বল জালে পাঠাতে পারেননি। মিনিট তিনেক বাদেই দুর্ভাগ্যের শিকল ছেঁড়ে আবাহনী আবদুল্লাহর ফ্রি কিক গোলে। বল গোলরক্ষক রাজীবকে ফাঁকি দিয়ে পোস্টে লেগে পৌঁছে যায় রহমতগঞ্জের জালে। ১৬ ম্যাচে দ্বাদশ জয় নিয়ে ৩৯ পয়েন্টের সুবাদে অক্ষুণ্ন আছে তাদের শীর্ষস্থান।