সুযোগ হারাল শেখ জামাল

হাতাহাতি, ফাউলের পর ফাউল, চমৎকার গোল- বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গতকাল ঘটনাবহুল একটি ম্যাচ দেখলেন ফুটবলপ্রেমীরা। নব্বই মিনিটের সেই ম্যাচের ফলও অমীমাংসিত। রহমতগঞ্জের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে শেখ জামাল। তাতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ওঠার সুযোগটা হারাল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলের তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা। ১৫ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে মাহবুব হোসেন রক্সির দল। সমান ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে চট্টগ্রাম আবাহনী। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে রহমতগঞ্জ।
আগের দিন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের সঙ্গে ড্র করে চট্টগ্রাম আবাহনী। এদিন জিতলেই চট্টগ্রাম আবাহনীর সমান ৩৬ পয়েন্ট হতো জামালের। তবে গোল গড়ে এগিয়ে থাকায় এক নম্বর স্থানে থাকত ধানমণ্ডিপাড়ার ক্লাবটিই। সেটা তো হয়নি, উল্টো হারের লজ্জা থেকে বেঁচে যায় শেখ জামাল। দু’দলই শারীরিক শক্তি প্রয়োগ করে খেলে। দু’দল মিলিয়ে ফাউল করেছে ৩২টি, রেফারিকে ছয়বার হলুদ কার্ড বের করতে হয়েছে। এই দুটি পরিসংখ্যানই বলছে ম্যাচে আসলে হয়েছে কী। মাঝে মাঝে মেজাজ হারিয়েছেন দু’দলের খেলোয়াড়রা। এমন দৃশ্যটা বেশি দেখা গেছে রহমতগঞ্জের গোলের পরই। ম্যাচের ২৮ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠা দাউদা সিসের নিখুঁত প্লেসিং চলে যায় শেখ জামালের জালে।
এর পরই অন্যদিকে মোড় নেয় ম্যাচের চিত্র। গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে ওঠা শেখ জামালকে থামানোর জন্য শারীরিক শক্তি দেখায় রহমতগঞ্জ। এই লড়াইয়ে কম যায়নি শেখ জামালও। আক্রমণ করেও গোল না পাওয়ার হতাশাটা বেশি ছিল বিপিএলের সাবেক চ্যাম্পিয়নদের। শেষ পর্যন্ত শেখ জামালের ত্রাতা হয়ে আসেন সলোমন কিং। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে ডি বক্সের একটু বাইরে থেকে ফ্রি কিকে চমৎকার গোল করে দলকে সমতায় ফেরান তিনি। কোনোমতে হার এড়িয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে জামাল।