১০ গোলের ম্যাচে শেখ জামালের জয়

পেশাদার ফুটবলে দর্শক খরা নতুন কোনো ঘটনা নয়। গতকালও বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গ্যালারি ছিল প্রায় ফাঁকা। দর্শকের চেয়ে বরং খেলোয়াড় ও কর্মকর্তার সংখ্যাই ছিল বেশি। কিন্তু তাতে কী। অনেক দিন পর স্মরণীয় একটি ম্যাচ হয়ে গেল। ১০ গোলের ম্যাচে আরামবাগকে ৬-৪ গোলে হারিয়ে পুরো পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে শেখ জামাল। শক্তির বিচারে শেখ জামাল ছিল ফেবারিট। তবে প্রতিপক্ষ আরামবাগ ছিল বলেই সতর্ক হয়ে মাঠে নামে রক্সির শিষ্যরা। কেননা বড় দলের ঘুম হারাম করতে আরামবাগের জুড়ি নেই। হাড়ে হাড়ে টেরও পেয়েছে শেখ জামাল। ঘাম ঝরিয়ে দিয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপর্ণ ম্যাচে কে জিতবে বা হারবে বলায় যাচ্ছিল না। ৮ মিনিটেই রাফায়েলের গোলে এগিয়ে যায় শেখ জামাল। ১৬ মিনিটে আরামবাগের পক্ষে সমতা ফেরান রবিউল। ২২ মিনিটে বাপ্পির শর্ট জালে জড়ালে আরামবাগ ২-১ গোলে এগিয়ে যায়। ৪০ মিনিটে রাফায়েলই সমতা ফেরান। তিন মিনিট পরই সুমনের গোলে আরামবাগ পুনরায় এগিয়ে যায়। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে রাফায়েলের হ্যাটট্রিকে ম্যাচে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-৩। চলতি লিগে এটি তার দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। ফরাশগঞ্জের বিপক্ষেও তিনি হ্যাটট্রিক করেছিলেন। অবশ্য রাফায়েলের তৃতীয় গোল নিয়ে মাঠে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আরামবাগ দাবি তুলে নাইজেরিয়ান এই ফরোয়ার্ড বল হাতে স্পর্শ করেছেন। গোল বাতিলের দাবিতে আরামবাগের খেলোয়াড়রা সহকারী রেফারিকে ঘিরে ধরেন। বিরতি বাঁশি বাজানোয় উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। পরে অবশ্য পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায় শেখ জামাল। সলোমানের জোরালো শর্ট জাল স্পর্শ করে। ৫৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নূরুল আবছার। ৮৯ মিনিটে সলোমান গোল করলে শেখ জামালের জয় নিশ্চিত হয়। দ্বিতীয়ার্ধে ইনজুরি টাইমে ম্যাচের ব্যবধান ৬-৪ করেন আরামবাগের বুকালো। এদিকে দিনের প্রথম ম্যাচে আবদুল্লাহর গোলে চট্টগ্রাম আবাহনী পরাজিত করে রহমতগঞ্জকে। ১৬ ম্যাচে তারা ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই থাকল। ৩৭ পয়েন্টে শেখ জামালের অবস্থান দুইয়ে।