জমজমাট আয়োজনে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের ‘বাজুস ফেয়ার’। গতকাল সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রফেসর ইমেরিটাস ও খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী, ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেলসহ অতিথিদের নিয়ে ফিতা কেটে তিন দিনের ফেয়ার উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। ফেয়ারের প্রথম দিন জুয়েলারিপ্রেমী নানা বয়সের দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড় ছিল। সেই সঙ্গে এ শিল্পের নানা সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় তিনটি সেমিনার। দেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, চলচ্চিত্র ও নাট্যাঙ্গনের অভিনেতা-অভিনেত্রী, জুয়েলার্স-শিল্প-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা এতে অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা বলেন, সোনা শুধু অলংকার নয়, এটি একটি বড় বিনিয়োগের খাত। ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ নিজস্ব ব্র্যান্ড হিসেবে সারা পৃথিবীর বাজারে আমাদের অলংকারকে পরিচিত করাতে হবে। এজন্য আইনকানুনের পরিবর্তন করতে হবে। সেই সঙ্গে এ খাতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয। এ খাতের উন্নয়নে ভ্যাট-ট্যাক্স কমানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। গতকাল অন্য এক অনুষ্ঠানে নয়জন সাংবাদিককে ‘বাজুস মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। গতকাল রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) নবরাত্রি হলে ‘বাজুস জুয়েলারি সামিট-২০২৪’-এ ‘আমাদের অলংকার আমাদের ঐতিহ্য’ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন দেশের শীর্ষ শিল্প উদ্যোক্তা পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ইমেরিটাস প্রফেসর রফিকুন নবী, বিশ্ববরেণ্য ফ্যাশন ডিজাইনার
ও ইউনেস্কো আর্টিস্ট ফর পিস বিবি রাসেল, বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আহমেদ ইব্রাহিম সোবহান, এবিজি বসুন্ধরার পরিচালক মোস্তফা আজাদ মহিউদ্দিন, মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, বাজুসের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর মমতাজ বেগম, বাজুসের সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ রায়, বাজুসের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজনেস এডিটর রুহুল আমিন রাসেল, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী, নিউজ টোয়েন্টিফোর টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক শাহনাজ মুন্নী প্রমুখ। চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী বলেন, ‘আমাদের সংস্কৃতির উপকরণগুলো বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আমরা ঐতিহ্য থেকে সরে যাওয়ায় অন্যান্য দেশ সে সুযোগটা নিচ্ছে। এজন্য সোনার অলংকার ইনস্টিটিউট করা গেলে আমাদের হারিয়ে যাওয়া নিজস্ব সংস্কৃতি সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। ইনস্টিটিউট হলে সবাই সেখানে যেতে পারবে। ডিজাইনের দিকে বেশি জোর দিতে হবে। কারণ অলংকার বলতে অলংকরণ, সেটা মূলত ডিজাইন।’ ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেল বলেন, ‘আমার কাজ হলো যত কারুশিল্প আছে সেগুলো দেখা। দেশের প্রতিটি জেলায় ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের গহনা রয়েছে। সেগুলো তুলে আনতে হবে। স্বর্ণ শুধু নারীর নয়, একটি সংসারের সম্পদ। ডিজাইনে অনেক প্রতিযোগী থাকবে। কিন্তু আমাদের নিজস্ব কিছু ডিজাইন আছে সেগুলো সংরক্ষণ করতে হবে। সেসব ডিজাইনের জিআই সনদ নিতে পারি।’
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘আমাদের নারীরা এখন বিদেশে গিয়ে সোনার অলংকার কেনেন। সোনা আবার পাচারও হচ্ছে। পাচার রোধে লক্ষ্য রাখতে হবে। শুধু নারী নয়, পুরুষও এখন সুন্দর সুন্দর গহনা পরে। সবার পছন্দের ডিজাইন তৈরি করা গেলে সোনার গ্রহণযোগ্যতা দিন দিন আরও বাড়বে।’
কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো বাজুস ফেয়ার হচ্ছে। বাজুসের প্রেসিডেন্টে সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাজুস। দক্ষ নেতৃত্বের জন্য বাজুস যে লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তা অর্জন করতে পারবে।’
শাহনাজ মুন্নী বলেন, ‘স্বর্ণ ঐতিহ্য ও পবিত্রতার একটি অংশ। গহনা নারী বা স্ত্রী ধন। গহনার প্রতি সবার আকর্ষণ চিরকাল ছিল। স্বর্ণের গহনা এখন স্মার্ট ও ফ্যাশনের। এখানে বিনিয়োগ দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশের স্বর্ণালংকার বিদেশে রপ্তানি হবে, এজন্য আইনি ও নীতির কিছুর পরিবর্তন আনতে হবে।’
বাজুস সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় বলেন, ‘সোনার দাম আর কমবে না, বাড়বে। সোনা এমন একটা ধাতু যা মানুষের মধ্যে বন্ধন সৃষ্টি করে। এতে ইমোশন কাজ করে। সোনা বিপদের একমাত্র সঙ্গী। আমাদের মূল বক্তব্য হচ্ছে কীভাবে আমরা এ শিল্পটা গড়ে তুলতে পারি। আমাদের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে গত তিন বছরে আমরা যে একটা প্ল্যাটফরম তৈরি করতে পেরেছি, এটা প্রশংসার দাবিদার। আগে আমরা এ রকম প্ল্যাটফরম তৈরি করতে পারিনি। তবে সরকারের সহযোগিতা থাকলে রপ্তানি পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছি।’
সাবেক সংসদ সদস্য জিন্নাতুল বাকিয়া বলেন, ‘প্রশিক্ষণ দিয়ে নারীদের দক্ষ স্বর্ণ কারিগর হিসেবে তৈরি করতে হবে।’
‘সোনায় বিনিয়োগ, ভবিষ্যতের সঞ্চয়’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে শুরু হওয়া বাজুস ফেয়ার চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ফেয়ার ক্রেতা-দর্শনার্থীর জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বাজুস ফেয়ারে প্রবেশ টিকিটের মূল্য জনপ্রতি ১০০ টাকা। তবে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের টিকিট লাগবে না। এবার বাজুস ফেয়ারে নয়টি প্যাভিলিয়ন, ১৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ১৫টি স্টলে দেশের স্বনামধন্য ৪১টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। ‘সেলিব্রেটিদের লাইফস্টাইলে গহনা’ শীর্ষক সেমিনার সঞ্চালনা করেন কথাসাহিত্যিক ও কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ এমপি। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মডেল-অভিনেত্রী জাহরা মিতু।
ইমদাদুল হক মিলন বলেন, এই উপমহাদেশে গহনার প্রচলন শুরু হয়েছিল ৫ হাজার বছর আগে। নারীরা যারা একটু সচ্ছল তারা পর্যায়ক্রমে গহনা জমানো শুরু করল। আমরা গ্রামের মা-চাচিদের দেখেছি যে ছেলের বিয়ে হলে তারা গহনা উপহার দিত। অথবা অভাবের দিনে গহনা বিক্রি করত। সুতরাং গহনা একটি সঞ্চয় বা ব্যাংকে পরিণত হলো। আজকের এই আলোচনায় গহনার সেকাল-একাল নিয়ে আমরা আলোচনা শুনব সেলিব্রেটিদের কাছ থেকে।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, বাজুস ফেয়ারে এসে মনে হচ্ছে আমি বাংলাদেশে না, দুবাইয়ের কোনো স্বর্ণের দোকানে চলে এসেছি। দেশের স্বর্ণের বাজার সত্যিকার অর্থে অনেক সম্ভাবনাময়। বাংলাদেশের এখানে কাজ করার অনেক কিছু আছে। আর সেলিব্রেটিদের লাইফস্টাইলের সঙ্গে গহনা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে।
তিনি নিজের কথা তুলে ধরে বলেন, শুধু নায়িকারা না, নায়করাও গহনা হিসেবে স্বর্ণ ব্যবহার করেন।
আগেকার বাংলা সিনেমায় দেখা যেত বিপদের সময়ে নারী তার গহনা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছে কিংবা বড় কোনো কাজে সাহায্য করছে। নারীর কাছে স্বর্ণ নিছক গহনা না। এটি একটি সঞ্চয়।
সেমিনারে বক্তব্য দেন চিত্রনায়িকা রোজিনা, নৃত্যশিল্পী শামীম আরা নিপা, চলচ্চিত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ, মডেল, উপস্থাপক, অভিনেত্রী, আইনজীবী জান্নাতুল পিয়া, অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস, অভিনেত্রী তমা মির্জা, সোহানা সাবা, সাবরিনা সুলতানা কেয়া, আশনা হাবিব ভাবনা, অর্চিতা স্পর্শিয়া, অধরা খান, সংংগীতশিল্পী কোনাল প্রমুখ।
অলংকার ডিজাইনে শিল্পীর ভূমিকা, প্রযুক্তির ব্যবহার ও কারিগরি দক্ষতা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি এমপি। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি পরিবারের নারী-পুরুষ সবাই কোনো না কোনোভাবে সোনার গহনার সঙ্গে জড়িত। আজকে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কম ভূমিতে সবার জন্য কৃষিকাজের সুযোগ দিতে পারব না। তাই শিল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। বাজুস এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। জুয়েলারি শিল্প যে এত বড় হতে পারে সেটা আমি কখনো কল্পনা করিনি। এ খাতে বিনিয়োগ করে বাংলাদেশের অলংকারকে পৃথিবীর স্বর্ণের বাজারে ব্র্যান্ডিং করতে হবে। এ খাতে তৈরি করতে হবে দক্ষ জনশক্তি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে বাজুসের এই উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান।
এ সেমিনারে বাজুসের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- বিইউএফটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এম মাহফুজুর রহমান, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত সচিব মুসরাত ওমেহ-জাবীন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক শেখ আফজাল হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আলপ্তগীন, শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটির ডিজাইন ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন এন কে কায়কোবাদ রানা, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ ইউডার ডিন (ফ্যাকাল্টি অব আর্টস) অধ্যাপক শাহজাহান আহমেদ বিকাশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কারুশিল্প বিভাগের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রাচ্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মলয় বালা, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রাশেদ সুখন, বাজুসের ট্রেজারার ও এক্সিবিশন কমিটির চেয়ারম্যান উত্তম বণিক ও বিশ্ব রংয়ের কর্ণধার বিপ্লব সাহা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তাসনিম নাজ মোনা।
বাজুস মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৯ সাংবাদিক : দেশের জুয়েলারি শিল্প নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় প্রথমবারের মতো ৯ জন সাংবাদিককে বাজুস মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ প্রদান করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) নবরাত্রি হলে জমকালো অনুষ্ঠানে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন জুরি বোর্ডের সদস্য ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল। এ সময় ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আমরা সবাই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার করে নম্বর দিয়েছি। প্রতিবেদনে কারও নাম ছিল না। নিরপেক্ষভাবে যাচাইবাছাই করে বিজয়ীদের নির্বাচন করা হয়েছে। সবাইকে অভিনন্দন। বাজুস অনেক আগে প্রতিষ্ঠিত হলেও গত তিন বছর ধরে বাজুসের কার্যক্রম আমাদের নজরে এসেছে। বিশ্ববাজারে যাওয়া বাংলাদেশের সোনার গায়ে লেখা থাকবে মেড ইন বাংলাদেশ। এটা আমাদের জন্য গর্বের। তিনি আরও বলেন, আমরা সব সময় মনে করি সোনার অলংকার আমাদের সঞ্চয়। সোনা কেনার সময় মনে করি বিপদে-আপদে ব্যবহার করতে পারব। সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডের পর আমার কাছে মনে হয় বাজুস মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড সাংবাদিকদের জন্য বড় আয়োজন। রাষ্ট্রীয় পদকের বাইরে প্রথম কোনো অ্যাওয়ার্ডে সাংবাদিকদের গোল্ড মেডেল দেওয়া হলো। যারা পুরস্কৃত হয়েছেন তাদের ধন্যবাদ। এই পুরস্কার অন্য সাংবাদিকদেরও দেশের স্বর্ণ শিল্প নিয়ে জানতে, ভাবতে ও কাজ করতে উৎসাহিত করবে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন ও সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ রায়। বাজুস মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডের তিন ক্যাটাগরিতে মোট ৯ সাংবাদিক পুরস্কার পেয়েছেন। সংবাদপত্র ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন দৈনিক জনকণ্ঠের বাণিজ্য সম্পাদক রহিম শেখ। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন ডেইলি সানের স্টাফ রিপোর্টার রফিকুল ইসলাম। তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন কালবেলা পত্রিকার বাণিজ্য সম্পাদক শাহ আলম খান। টেলিভিশন ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সিনিয়র রিপোর্টার মোহাম্মদ শাহরিয়ার আরিফ। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন বাংলাভিশনের স্টাফ রিপোর্টার ফখরুল আহমেদ বাবু। তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন গাজী টিভির রিপোর্টার তৌহিদুর রহমান। অনলাইন পত্রিকা ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন একুশে পত্রিকা ডটকমের প্রধান প্রতিবেদক শরীফুল ইসলাম। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন ঢাকা পোস্টের সিনিয়র রিপোর্টার এফ এম আবদুর রহমান। তৃতীয় হয়েছেন জাগোনিউজের সিনিয়র রিপোর্টার মো. আবু সাঈদ।
SOURCE : বাংলাদেশ প্রতিদিনHospital for Covid-19 Patients at Bashundhara’s ICCB to Open Soon
মীরসরাই এবং কেরানীগঞ্জে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করলো বসুন্ধরা গ্রুপ
বসুন্ধরা গ্রুপ কাপ গলফ টুর্নামেন্ট ২০১৩ গলফারদের উৎসব
Dazzling Finish of Bashundhara Cup Golf Tournament 2013
Bashundhara Group Exporting Tissue to 16 Countries
Bashundhara Group Chairman Stands by Ailing Girl
Bashundhara Group Chairman Ahmed Akbar Sobhan Stands by Sick Tasmia
India Willing Partner in Bangladesh Development
Bashundhara Group Chairman Stands by Ailing Boy Siraj
Ceremony of Bashundhara Cup Golf