বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালের সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার খাকচাইল ফকির মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন স্কুল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে গ্রামের ৬ শতাধিক মানুষকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের সহায়তা নিয়ে ফকির মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা গ্রিন ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির ব্যতিক্রমী এই সেবা কার্যক্রমের আয়োজন করেন।
গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের খাকচাইল গ্রামে ফকির মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন স্কুল প্রাঙ্গণে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ৬ শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. সাইফুল ইসলাম, কনসালটেন্ট ডা. কাজী আদনান ও ক্যাম্প অর্গানাইজার আবু তৈয়বের নেতৃত্বে আটজনের একটি প্রতিনিধি দল বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেন। এ সময় গ্রিন ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির, ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সুশীল কুমার সরকার, ফকির মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুন নূরসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ৪ শতাধিক রোগীর নাম আগে থেকেই লিপিবদ্ধ করা ছিল। বিকাল নাগাদ ৪০ জন রোগীকে ছানি অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে অনেককে ব্যবস্থাপত্রের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে বাছাই করা রোগীদের বিনামূল্যে অপারেশন করবে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট।
ফ্রি চিকিৎসা পাওয়া স্কুলের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থীদের যাদের চোখের সমস্যা রয়েছে সবাই ফ্রি চিকিৎসা পেয়েছে। এ ছাড়া আমাদের অভিভাবকরা চিকিৎসা পেয়েছেন। চিকিৎসা নিতে আসা খাকচাইল গ্রামের নারী আয়েশা বেগম বলেন, ‘এক বছর ধরে আমার চোখ দিয়ে দূরের বস্তু কম দেখি। দেখতে অনেক কষ্ট হয়। মাঝে মাঝে চোখে ব্যথা অনুভব হয়। অনেকবার ডাক্তার দেখাইছি, এতে সমস্যা দূর হয় নাই। টাকাও অনেক খরচ হয়েছে। আজকে আমাদের গ্রামের স্কুলে ঢাকা থেকে ডাক্তার এসে ফ্রি চিকিৎসা দিয়েছে। কোনো ভিজিট দেওয়া লাগেনি। চোখ দেখে আমাকে চমশা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে’। শামীমা আক্তার বলেন, আমরা গ্রামের মানুষ। ভালো ডাক্তার দেখাতে টাকারও প্রয়োজন হয়। চোখে সমস্যার কারণে অনেকবার ডাক্তার দেখাইছি, সমস্যা দূর হয় নাই। খবর পেয়ে আজকে বসুন্ধরা আই ক্যাম্পে এসে চোখের ডাক্তার দেখাইছি। ফ্রি ওষুধও দিয়েছে তারা’।
গ্রিন ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির জানান, গ্রামের সাধারণ মানুষকে আই-সাইট সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে আমাদের এই উদ্যোগ। গত কয়েক বছর ধরে চলা এই কার্যক্রম আগামীতেও চলমান থাকবে। বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ওষুধ পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ায় বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
SOURCE : বাংলাদেশ প্রতিদিনHospital for Covid-19 Patients at Bashundhara’s ICCB to Open Soon
মীরসরাই এবং কেরানীগঞ্জে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করলো বসুন্ধরা গ্রুপ
বসুন্ধরা গ্রুপ কাপ গলফ টুর্নামেন্ট ২০১৩ গলফারদের উৎসব
Dazzling Finish of Bashundhara Cup Golf Tournament 2013
Bashundhara Group Exporting Tissue to 16 Countries
Bashundhara Group Chairman Stands by Ailing Girl
Bashundhara Group Chairman Ahmed Akbar Sobhan Stands by Sick Tasmia
India Willing Partner in Bangladesh Development
Bashundhara Group Chairman Stands by Ailing Boy Siraj
Ceremony of Bashundhara Cup Golf