আগের ধারাবাহিকতায় এ বছরও পবিত্র রমজানে ৪ লক্ষাধিক রোজাদারকে ইফতার করিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপ। গ্রুপটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের তরফে প্রথম রোজা থেকে রাজধানী ঢাকা, রংপুর, মানিকগঞ্জ, কুষ্টিয়া, কেরানীগঞ্জ, রূপগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা ও দরিদ্র মানুষদের মাঝে এই ইফতার বিতরণ করা হয়।
জানা গেছে, মাদরাসা ও এতিমখানা ছুটির পরিপ্রেক্ষিতে কোথাও ২০ রমজান, কোথাও ২৫ রমজান পর্যন্ত নিয়মিত ইফতার সরবরাহ করে বসুন্ধরা গ্রুপ। ১৮ থেকে ২০ হাজার মানুষকে ইফতার করানো হয় প্রতিদিন। মাসব্যাপী ইফতারের আয়োজন করা হয় রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের তিস্তাপাড়ের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতেও। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রতিদিন ৩ হাজার রোজাদারকে ইফতার করাচ্ছে গ্রুপটি। গতকাল ইফতারের আগে মসজিদটিতে গিয়ে দেখা যায়, অনেকেই আসরের নামাজ শেষে আর বাইরে যাননি। কেউ কোরআন তেলাওয়াত করছেন। কেউ তসবিহ হাতে একাগ্রচিত্তে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করছেন। সময় যত গড়াচ্ছিল, বেড়ে চলছিল অতিথির সংখ্যা। ইফতারের জন্য সারিবদ্ধভাবে বসেছিলেন ব্যবসায়ী, রিকশাচালক, ভিক্ষুক, আশপাশের দোকানের কর্মচারী, গুলিস্তান এলাকায় কেনাকাটা করতে আসা সাধারণ মানুষ, ভবঘুরে, এতিম-মিসকিন সবাই। ছিল না কোনো ভেদাভেদ। সবার সামনে সাজিয়ে রাখা হয় বসুন্ধরার পাঠানো ইফতার। মাগরিবের আজান ভেসে আসতেই উৎসবের আমেজে ইফতারে মশগুল হন রোজাদাররা।
বায়তুল মোকাররমে ইফতার করতে আসা এক শিক্ষার্থী বলেন, দৈনিক বাংলায় একটা মেসে থাকি। কলেজ ছুটি হয়ে গেছে অনেক আগেই। অন্যরা বাড়ি চলে গেছে। দুটা টিউশনির বেতন না পাওয়ায় এখনো বাড়ি যাইনি। ঈদের আগের দিন যাব। রমজানে অধিকাংশ দিনই বায়তুল মোকাররমে ইফতার করেছি। এতে অনেক টাকা বেঁচে গেছে। এর সঙ্গে টিউশনির বেতন মিলিয়ে বাড়ির সবার জন্য কিছু কিছু উপহার কিনেছি। মসজিদে এভাবে ইফতার করানোয় অনেক মানুষ নানাভাবে উপকৃত হয়েছে। এদিকে বিশাল এ আয়োজন সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে কাজ করছে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটি। মুসল্লি কমিটির সেক্রেটারি মিজানুর রহমান মানিকের তথ্য মতে, এ বছর তৃতীয়বারের মতো রমজানে বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইফতার বিতরণ করা হচ্ছে। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীরের পক্ষ থেকে প্রতিদিন ৩ হাজার মানুষের ইফতারের ব্যবস্থা করা হয় এখানে। রমজানের ৩০ দিনে এখানে ৯০ হাজার মানুষকে ইফতার করানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এখানে অনেক মানুষের সঙ্গে একসঙ্গে বসে ইফতার করতে ধনীরা যেমন আসেন, আসেন একেবারে হতদরিদ্র মানুষও। সবার জন্য আয়োজন একই। কোনো ভেদাভেদ নেই। আর এটাই ইসলামের শিক্ষা।
SOURCE : বাংলাদেশ প্রতিদিন২০০ পরিবারের মুখে হাসি ফোটাল বসুন্ধরা শুভসংঘ
Bashundhara Shuvosangho Brings Smiles to Faces of 200 Families
ফেনীতে বন্যা দুর্গতদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ
Bashundhara Shuvosangho Continues Support for Flood Victims in Feni
সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বন্যার্তদের মাঝে বসুন্ধরা ফুডের ত্রাণ বিতরণ
Bashundhara Food Distributes Relief Among Flood Victims Under Army Supervision
বন্যার্তদের পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ
Bashundhara Group Stands by Flood Victims
বন্যার্তদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে বসুন্ধরা গ্রুপ
Bashundhara Group Comes Forward to Help Flood Victims