৩০০ বেড চলে এসেছে। প্রতিদিনই আসছে বেড, চেয়ার ও অন্যান্য আসবাব। প্রতিটি বেডের সঙ্গে গ্যাসট্রলি, নেবুলাইজার মেশিন চালানোর জন্য লাগানো হচ্ছে পাওয়ার সকেট। চলছে ফ্লোরে পিভিসি কার্পেট বসানোর কাজ। এসি বসানোর কাজ আগেই শেষ। সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য স্থাপন করা হচ্ছে আড়াই হাজার কেভির সাবস্টেশন। তার ও মালামাল চলে এসেছে। বাকি শুধু স্থাপন করে সংযোগ দেয়া। চলতি সপ্তাহেই করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) দেশের বৃহত্তম আইসোলেশন সেন্টারটি প্রস্তুত হবে বলে আশাবাদী স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
গতকাল আইসিসিবির এক্সপো ট্রেড সেন্টারে নির্মাণাধীন হাসপাতাল প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, করোনা রোগীর চিকিৎসায় দ্রুত হাসপাতালটি নির্মাণে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। ২৩ এপ্রিলের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করতে চাচ্ছি। আমরা পারব বলে আশাবাদী। সর্বোচ্চ দু-একদিন বেশি লাগতে পারে। তিনশর মতো বেড চলে এসেছে। প্রতিদিন দুইশর ওপর বেড আসতে থাকবে। ফ্লোরের ওপর পিভিসি কার্পেট বসানোর পর ডক্টর চেম্বার, নার্স চেম্বার, ওয়ার্কস্টেশন এগুলো লেআউট করে ফার্নিচার বসানো শুরু করব। সব ধরনের কাজ একসঙ্গে চলছে। ইলেকট্রিক্যাল লেইংয়ের কাজ চলছে। গ্যাসট্রলি, নেবুলাইজার মেশিন চালানোর জন্য প্রতিটি বেডের সঙ্গে পাওয়ার সকেট, টু-পিন সকেট লাগানো হচ্ছে। সব মালামাল আমাদের সাইটে চলে এসেছে। এখন ফিটিং করতে যতটুকু সময় লাগে। আমাদের দিন-রাত কাজ চলছে।
তিনি আরো বলেন, উহান দ্রুত বড় হাসপাতাল করেছে। সেখান থেকে অভিজ্ঞতার কথা শুনছি। এখন আমরা নিজেরাই এটা করছি। এ নিয়ে জাতি হিসেবে আমরা অনেক গর্বিত যে আমরাও পারি। তারা বানিয়েছে দুই হাজার বেড। আমরা ১০-১২ দিনে বানাচ্ছি সাড়ে তিন হাজার বেড। আইসিসিবিতে দুই হাজার বেড, একই সঙ্গে ডিএনসিসিতে আরেকটি প্রকল্পে হচ্ছে দেড় হাজার বেড। সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে এখানে আড়াই হাজার কেভির নতুন সাবস্টেশন স্থাপন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সাবস্টেশনের জেনারেটর, ট্রান্সফরমার সব চলে এসেছে। এখন শুধু ফিটিং আর কানেকশন হবে। এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে মালামাল সংগ্রহ, কাজ করানোর জন্য জনবল সংগ্রহ করা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা যেমন দিন-রাত এখানে থেকে কাজ তদারক করছি, আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সার্বক্ষণিক কাজের খোঁজ রাখছেন।
তিনি জানান, হাসপাতালে মোট আইসোলেশন বেড হবে ২ হাজার ১৩টি। ট্রেড সেন্টারে ছয় ক্লাস্টারে ১ হাজার ৪৮৮টি বেড বসবে। এছাড়া তিনটি কনভেনশন হলে থাকবে আরো ৫২৫টি বেড। এর বাইরে ৪ নম্বর হলে হবে ৭১ বেডের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ)। দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ের আগেই হাসপাতালটি দৃশ্যমান করতে চলছে নিরলস পরিশ্রম। স্বাস্থ্য প্রকৗশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে নিয়মিত নির্মাণকাজ তদারক করছেন অধিদপ্তরের একাধিক প্রকৌশলী। সঙ্গে থেকে সহযোগিতা করছেন বসুন্ধরার প্রকৌশলীরা।
উল্লেখ্য, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দিতে সরকারকে আইসিসিবিতে ৫ হাজার শয্যার একটি সমন্বিত অস্থায়ী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। পরে নানা হিসাবনিকাশ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সেখানে ২ হাজার ১৩ শয্যার হাসপাতাল ও ৭১ শয্যার আইসিইউ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দুর্গাপুরে এতিম ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করল বসুন্ধরা শুভসংঘ
Bashundhara Shuvosangho Distributes Educational Materials Among Orphans and Underprivileged Students in Durgapur
বাঞ্ছারামপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ৬০ নারীকে সেলাই মেশিন বিতরণ
60 Underprivileged Women Receive Sewing Machines in Bancharampur through Bashundhara Shuvosangho
নারায়ণগঞ্জে অসহায় বিধবা রামরতি রবিদাসের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ
Bashundhara Shuvosangho Supports Struggling Widow Ramrati Rabidas in Narayanganj
বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে পাবনায় ১০০ নারী পেলেন সেলাই মেশিন
বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদমুক্ত ঋণে স্বাবলম্বী হাজারো পরিবার
Thousands of Families Self-Reliant with Bashundhara Foundation's Interest-Free Loans
ভোলা নৈশ ও দিবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বসুন্ধরা শুভসংঘের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ