বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে আগামীতে জুয়েলারি শিল্প আরও সমৃদ্ধ হবে। স্বর্ণশিল্পের হারানো ঐতিহ্য আবারও ফিরে আসবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বরিশালের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, আগামীতে ডিলারদের কাছ থেকে স্বর্ণের বার কিনে ব্যবসা করতে হবে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের। মেড ইন বাংলাদেশ লেখা স্বর্ণালংকার বিদেশে রফতানি করে রাজস্ব আয়ে গার্মেন্ট শিল্পকেও ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ। শনিবার (১৪ মে) দুপুরে বরিশাল নগরীর সদর রোডের বিডিএস মিলনায়তনে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বরিশাল জেলা কমিটি আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের বরিশাল জেলা শাখার সহ-সভাপতি শেখ মোহাম্মদ মুসার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসিবে বক্তব্য রাখেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক মনিটরিং এর চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায়। তিনি বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পপরিবার বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর সাহেবকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি সানন্দে বাজুসের অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি নিজে থেকে প্রেসিডেন্ট হতে আসেননি। আমাদের গ্রুপিং ছিল না, তবে মতভেদ ছিল। আমরা সবাই মিলে তাঁকে অনুরোধ জানিয়েছি, বলেছি—প্রধানমন্ত্রী যে নীতিমালা দিয়েছেন আমাদের স্বর্ণ ব্যবসার জন্য, সেটি বাস্তবায়নে আপনাকে দরকার। ডা. দিলীপ কুমার রায় আরও বলেন, আমি ২৭ বছর ধরে জুয়েলারি ব্যবসায় আপনাদের সঙ্গে চলছি। আমাদের ঐতিহ্য ও গর্ব ছিল, ছিলো লাখ লাখ কারিগর। কিন্তু সেটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল। আমাদের স্বর্ণ ব্যবসায় কোনো নীতিমালা ছিল না, কোথা থেকে স্বর্ণ আসছে তাও জানতাম না। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি ছিল না, আমরা পুরনো স্বর্ণ, রিফাইন স্বর্ণ কিনতাম। আজ সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে আমরা বৈধতা পেয়েছি, আজ আমাদের পুঁজি নিরাপদ হয়েছে। তিনি বলেন, এই অল্প সময়ের মধ্যে সায়েম সোবহান আনভীর যদি তার কার্যক্রম দেখাতে না পারতেন তাহলে এখানে ৬ জন লোকও হতো না। মানুষ এখন আসছে। আজ বরিশালে বাজুসের ক্ষুদ্র পরিসরে সম্মেলন হলেও মানুষের মাঝে সাড়া পড়েছে। আমরা হারানো শিল্পের ঐতিহ্য যদি ফিরিয়ে আনতে চাই তাহলে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। আগামী দিনে বসুন্ধরা গ্রুপ বড় ধরনের গোল্ড রিফাইন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায়। সেখানে গোল্ড বারে মেইড ইন বাংলাদেশ লেখা থাকবে। বেসরকারি খাতে এ প্রকল্পে হাত দিতে কেউ সাহস পায়নি। গার্মেন্টস শিল্পের বাইরে আজ এখানে ইনভেস্ট করতে চাচ্ছেন অনেকে, বলেন দিলীপ কুমার রায়। তিনি বলেন, যারা বাজুদের সদস্য হবে না, তাদের কোনো দায়-দায়িত্ব নেওয়া হবে না। আর আপনি যদি বাজুসের সদস্য হন, সঠিকভাবে নিয়মকানুন মেনে সুনাম ধরে রেখে ব্যবসা করেন তাহলে এর দায়িত্ব বাজুস নেবে। এখন ব্যবসা সঠিকভাবে করতে হবে। আমরা চাই মহানগর থেকে জেলা-উপজেলা-থানা অর্থাৎ সারা দেশের সব জায়গায় স্বর্ণের রেট এক থাকুক। ক্রেতাদের উদ্দেশে দিলীপ কুমার রায় বলেন, ভরি প্রতি কম মূল্যে স্বর্ণালংকার পেলে, সেটি কিনলে অলংকারের সব জায়গায় একই ক্যারেটের সোনা না পেলে কিছু করার থাকবে না। তাই প্রতিষ্ঠিত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অলংকার কিনুন। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা ব্যবসায়ী হিসেবে সম্মান পেয়েছি, প্রধানমন্ত্রী আমাদের সেক্টরের প্রতি নজর দিয়েছেন। আর ভ্যাটের যে বিষয়গুলো আপনারা বলেছেন, এগুলো নিয়ে আমাদের সভাপতিও ভাবেন। এফবিসিসিআই এর মাধ্যমে তিনি এরই মধ্যে ভ্যাট কমিয়ে দুই শতাংশ করার জন্য প্রস্তাব আকারে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে জুয়েলারি ফেয়ার করতে পারবো, সেটি কখনও কল্পনাও করিনি। আগে আমাদের নিরাপত্তা ছিল না, সরকারের দৃষ্টি ছিল না। দেশে জুয়েলারি ফেয়ারের আয়োজন বিদেশিরাও প্রশংসা করছেন। আমরা দেশকে স্বর্ণ নিয়ে আমদানিমুখর দেশ হিসেবে দেখতে চাই না। আমরা স্বর্ণালংকার তৈরি করে দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করবো। আর ভ্যাট দেওয়ার পরও লাভ করতে পারবো, যদি সবাই এক থাকতে পারি। মতবিনিময় সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাজুসের সহ-সম্পাদক ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল’ অ্যান্ড মেম্বারশিপের ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান, বাজুসের সহ-সম্পাদক ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক মনিটরিং এর সদস্য সচিব মো. জয়নাল আবেদীন খোকন, বাজুসের কার্যনির্বাহী সদস্য ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল’ অ্যান্ড মেম্বারশিপের সদস্য সচিব মো. রিপনুল হাসান, বাজুসের কার্যনির্বাহী সদস্য ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক মনিটরিং এর সদস্য পবিত্র চন্দ্র ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন বাজুসের মিডিয়া সমন্বয়কারী রুহুল আমিন রাসেল। সভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে বরিশালের ব্যবসায়ীদের পক্ষে বিভিন্ন সমস্যা ও প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন বাজুস বরিশাল জেলা শাখার নেতারা। এ সময় বাজুস বরিশাল জেলা শাখার সহ-সভাপতি আলহাজ নুরুল আমিন বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি ও শিল্পোদ্যোক্তা সায়েম সোবাহান আনভীরের গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আজ আমাদের কাছে এসেছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। আমাদের প্রত্যাশ্যা এ শিল্প অনেক দূর এগিয়ে যাবে। কারণ, সায়েম সোবাহান আনভীর যে সেক্টরে হাত দিয়েছেন, কাজ করেছেন তা অত্যন্ত গতিশীল হয়েছে। তিনি আমাদের যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন আমরা যেন সেটি পূরণ করতে পারি। সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটিতে যারা রয়েছেন স্বর্ণের মান উন্নয়নের আপনাদের অনেক অবদান রয়েছে। তবে ক্রেতার কাছ থেকে স্বর্ণ কিনেও প্রশাসনিক হয়রানির শিকার হচ্ছি। আমরা চাই সার্বিক দিক থেকে এ ব্যবসা করতে যেন কোনো বিপদে না পড়ি। ভালো স্বর্ণ সংগ্রহ করবো এবং বিক্রি করবো এটাই আমরা চাই।
শহীদ ৫ সাংবাদিকের পরিবারকে কোটি টাকা সহায়তার ঘোষণা দিল বসুন্ধরা
Bashundhara Group Announces Tk 1cr Aid for Slain Journalists’ Families
বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে হোটেল শ্রমিকদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Distributed Winter Clothes Among Hotel Workers
বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের যাত্রা শুরু
Bashundhara Public School and College begins academic journey
বসুন্ধরা আই হসপিটালের সহায়তায় চিকিৎসা পেলেন ৬ শতাধিক মানুষ
Bashundhara Eye Hospital Provides Free Eye Treatment to Around 600 People
কুষ্টিয়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের পক্ষ থেকে অসহায়দের মাঝে কম্বল বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Distributed Blankets Among Needy People in Kushtia