মিয়ানমারে নিষ্ঠুর নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের অন্যতম প্রধান সমস্যা বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা। এ সমস্যা সমাধানে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে দেশের বৃহত্তম শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরা। বসুন্ধরা গ্রুপ নিজেদের অর্থায়নে ৬০০টি স্যানিটেশন সুবিধা (টয়লেট ও গোসলখানা) এবং ১৫০টি গভীর নলকূপ স্থাপন করেছে। কুতুপালং অস্থায়ী ক্যাম্প-১ ও ২, বালুখালী অস্থায়ী ক্যাম্প-১ ও ২, থাইংখালীর জামতলী বাঘঘোনা, তাজনিমার ঘোনা ও হাকিমপাড়ায় এসব গভীর নলকূপ ও স্যানিটেশন তৈরি করা হয়েছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে এ কাজ শুরু হয়। এর পাশাপাশি গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উখিয়ার থাংখালীর তাজনিমার ঘোনা অস্থায়ী ক্যাম্প এলাকায় রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ শুরু করেছে বসুন্ধরা। ত্রাণের মধ্যে রয়েছে পুরুষদের জন্য ৪০ হাজার পিস লুঙ্গি, নারীদের জন্য ২৫ হাজার পিস থামি, শিশুদের গেঞ্জি তিন হাজার পিস, সোয়েটার পুরুষ/মহিলা তিন হাজার ২০০ পিস, জিন্স প্যান্ট (শিশু) এক হাজার ৮০০ পিস, মশারি ৬০০ পিস, টিন (বার্লি) ২৫০টি এবং গোল আলু ১০০ টন। ৪০ হাজার রোহিঙ্গার মধ্যে এই ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে গতকাল ১৩ হাজার রোহিঙ্গার মধ্যে ৯ ধরনের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। গ্রুপের পক্ষে এসব ত্রাণ বিতরণ করেন আলহাজ মোহাম্মদ ইয়াহিয়া। আজ বুধবার গোল আলু বিতরণ করা হবে। প্রতি পরিবারের মধ্যে পাঁচ কেজি করে এই আলু বিতরণ করার কথা রয়েছে। গতকাল দুপুর ২টার দিকে মোহাম্মদ হাকিম নামে ১০ বছরের এক শিশু ত্রাণ পাওয়ার পর বলে, ‘আমাদের পোশাক ছিল না। এগুলো পরব। আমার আব্বু-আম্মুও পরবে।’ ছয় মাসের শিশুসন্তান ফাহিমকে কোলে নিয়ে ত্রাণ নিতে এসেছিলেন মা শাহেদা আকতার। তিনি বলেন, ‘১৫ দিন আগে মংডু থেকে এখানে এসেছি। ঘরে পরার মতো কাপড়-চোপড় ছিল না। এগুলো পেয়ে ভালো লাগছে।’ এদিকে নলকূপ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা পেয়ে খুশি উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রের হাজার হাজার রোহিঙ্গা। গতকাল থাংখালী এলাকায় হাফেজ জাকারিয়া (২২) নামের এক রোহিঙ্গা যুবক বলেন, ‘এত দিন অনেক দূরে (৬-৮ গজ) গিয়ে বাথরুম সারতে হতো। এখন আর দূরে যেতে হবে না। পানির জন্য নলকূপ ছিল না। এখন আমাদের এখানে নলকূপ (বসুন্ধরা গ্রুপ) বসানোর পর পানির সমস্যা নেই। তিন দিন ধরে আমাদের এখানে পানির সমস্যা নেই। এই পানি ও স্যানিটেশন এবং গোসলখানা পেয়ে আমাদের দুই পরিবারের ১৮ জন খুশি।’ মো. রফিক নামের অপর এক রোহিঙ্গা বলেন, ‘আমার পরিবারে সবাই এখন বাথরুমে যেতে পারছে। মহিলাদের জন্য গোসলখানা করে দেওয়ায় বেশি ভালো হয়েছে। থাংখালীর তাজনিমারঘোনা এলাকায় লাইনে দাঁড়িয়ে এই ত্রাণসামগ্রী গ্রহণ করে রোহিঙ্গারা। বিশুদ্ধ পানির জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন, স্যানিটেশন ব্যবস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী পেয়ে অনেক রোহিঙ্গার মুখে হাসি ফুটতে শুরু করেছে।
গোবিন্দগঞ্জে বসুন্ধরা শুভসংঘের ইফতারসামগ্রী বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Distributes Iftar in Gobindaganj
অসচ্ছল নারীদের স্বপ্নপূরণে বসুন্ধরা গ্রুপ
ইব্রাহিমপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের মাসব্যাপী ইফতার আয়োজন
Bashundhara Shuvosangho Organizes Month-Long Iftar in Ibrahimpur
পাবিপ্রবির কর্মচারীদের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের ইফতার বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Distributes Iftar Among Pabiprabi Employees
সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সঙ্গে বসুন্ধরা শুভসংঘের ইফতার আয়োজন
Bashundhara Shuvosangho Organised an Iftar Programme for Underprivileged People
সুবিধাবঞ্চিত মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে বসুন্ধরা শুভসংঘ