পড়ন্ত বিকেলে বই পাঠে মগ্ন কিছু সাহিত্যপ্রেমী মানুষ। কাঠের তাকে সাজানো অনেক বই। যার যে বই খুশি নিয়ে পড়ছেন। পড়া শেষে আবার জায়গামতো রেখে চলে যাচ্ছেন। কিছুদিন আগেও এই দৃশ্য চোখে পড়ত না। এখন এটি প্রতিদিনকার দৃশ্য। অনেক শিক্ষার্থী এবং বয়স্ক মানুষ এখানে বই পড়তে আসেন। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কল্যাণপুর এলাকার প্রামাণিক মোড়ে এখন বইপ্রেমীদের ভিড় লেগেই থাকে।
সম্প্রতি এই এলাকায় ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ পাঠাগার’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পাঠাগারটি উদ্বোধন করেছেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও কালের কণ্ঠ’র প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। কুষ্টিয়া শহরের ছয় রাস্তার মোড়সংলগ্ন বসুন্ধরা শুভসংঘের আঞ্চলিক কার্যালয়ে আরো একটি পাঠাগার উদ্বোধন করেছেন তিনি। এখানেও বইপ্রেমী মানুষের বেশ আনাগোনা।
বিকেল হলেই শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে বই পড়তে আসে। দৌলতপুরের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে এবং কুষ্টিয়া শহরের পাঠাগার বেশ সাড়া ফেলেছে। যে ছেলেমেয়েরা একসময় মোবাইলে গেমস খেলে সময় কাটাত, তারা এখন বই পড়ার দিকে ঝুঁকছে। বিষয়টিকে খুব আশাব্যঞ্জক মনে করছে সচেতন মহল। অনেকেই জানায়, কুষ্টিয়ার দুটি ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ পাঠাগার’ আশার আলো ছড়াচ্ছে।
বই পড়তে কার না ভালো লাগে? আর সেটি যদি হয় বই পড়ার উপযুক্ত পরিবেশ কিংবা উন্মুক্ত কোনো পাঠাগার, তবে এর থেকে খুশির খবর আর কী হতে পারে! বই পড়ুয়া মানুষ অনায়াসে পারবে সেখানে গিয়ে বই পড়তে। সর্বসাধারণের জন্য ঠিক তেমন পাঠাগার তৈরি করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। জ্ঞান অর্জনের জন্য বই পড়া বা পাঠাগারে যাওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
পাঠাগার দুটিতে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ার-টেবিলে বেশ কয়েকজন তরুণ-তরুণী বই পড়ায় মগ্ন। শেলফে সাজানো রয়েছে অনেক বই। কেউ কেউ আবার বই হাতে নিয়ে বাইরে আমগাছের নিচে চেয়ারে বসে পড়ছে। পড়ন্ত বিকেলে গাছের ছায়ায় বসে বই পড়তে বেশ ভালো লাগে বলে জানাল কয়েকজন। তাদেরই একজন রাসেল আহমেদ বলেন, ‘বই পড়তে ভীষণ ভালো লাগে। যখনই সময় পাই এখানে চলে আসি। এখানে বিভিন্ন ধরনের বই রয়েছে। সুন্দর পরিবেশে ইচ্ছামতো বই পড়তে পারি।’ আরেক বইপ্রেমী সুমাইয়া খাতুন বলেন, ‘কয়েকজন বান্ধবী মিলে আমরা প্রায়ই এখানে বই পড়তে আসি। এখানকার পরিবেশটা খুবই চমৎকার।’ স্থানীয় লোকজন জানায়, আলোকিত মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হলে বেশি বেশি বই পড়তে হবে। বসুন্ধরা শুভসংঘ পাঠাগার মেধাবী মানুষ গড়ার কাজটিই করছে।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ রফিকুল আলম টুকু বলেন, তরুণ প্রজন্মকে বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ করতে অনেক বেশি ভূমিকা রাখবে বসুন্ধরা শুভসংঘ পাঠাগার। জ্ঞানচর্চার আলো যদি একবার জ্বালানো যায়, তবে সেটি কোনো দিনই নিভে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। বই পড়ার অভ্যাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে হবে। সোনার মানুষ গড়তে বই পড়ার অভ্যাস অনেক বড় ভূমিকা রাখে।
SOURCE : কালের কণ্ঠবসুন্ধরা শুভসংঘের প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন পেলেন মাদারীপুরের ২০ নারী
বসুন্ধরা শুভসংঘের খাদ্য সহায়তা পেলেন অসহায় ৩০ জন মানুষ
মাগুরায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
Bashundhara Foundation Organises Daylong Free Medical Camp in Magura
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য বসুন্ধরা শুভসংঘের পিঠা উৎসব
Bashundhara Shuvosangho's Pitha Utsav for Disadvantaged Children
দেবীগঞ্জে বসুন্ধরা শুভসংঘের কম্বল বিতরণ
বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে অসহায়দের মধ্যে খাবার বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho's Initiative Involves Distributing Food to the Needy
বসুন্ধরা গ্রুপের দুই কোম্পানিকে সম্মাননা মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের