All news

কুষ্টিয়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের কম্বল পেলেন হতদরিদ্ররা

কুষ্টিয়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের কম্বল বিতরণ

বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে গত সোমবার শীতার্ত অসহায়-হতদরিদ্র অর্ধশত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় শিশুদের ‘সবজি দেখে লিখব খাতায়’ আয়োজন করেন সংগঠনের সদস্যরা।

শহরের থানাপাড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে সকালে কম্বল বিতরণ করা হয়। এ সময় কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রার্থ প্রতিম শীল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাতুল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি তারিকুল হক তারিক, জেলা প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, বসুন্ধরা শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক কাকলি খাতুন, যুগ্ম সম্পাদক শাকিল প্রামাণিকসহ শুভসংঘের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রার্থ প্রতিম শীল বসুন্ধরার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ অসহায় মানুষের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে যে কম্বল বিতরণ করছে তা ভবিষ্যতেও যেন অব্যাহত রাখে।’

গতকাল মঙ্গলবার শুরু হওয়া কার্যক্রম চলবে টানা তিন দিন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বসুন্ধরা শুভসংঘের শাখা সভাপতি মো. জুনায়েত শেখ। এর আগে গত সোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনলাইন পোস্টার তৈরি করে সদস্য সংগ্রহের প্রচার চালানো হয়।

বাংলা ও ইংরেজিতে নাম লেখা। টেবিলে সাজানো সবজি ঘিরে শিক্ষার্থীদের ভিড়। কেউ খাতায় লিখছে, কেউ কেউ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছে। শিক্ষকরা এসব সবজি নিয়ে ধারণা দিচ্ছেন উপস্থিত শিক্ষার্থীদের। আয়োজনের নাম ‘সবজি দেখে লিখব খাতায়’।
বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার রাধানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত সোমবার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক গাজালা পারভীন রুহি। কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ ইলিয়াস উদ্দীন ও উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। উপস্থিত ছিলেন ইয়ার হোসেন শামীম, ফরহাদুল ইসলাম, আশীষ সাহা প্রমুখ।

প্রধান শিক্ষক মৌসুমী আক্তার বলেন, ‘আয়োজনটি শিক্ষার্থীরা বেশ উপভোগ করেছে। তারা সবজি দেখে তাৎক্ষণিকভাবে বাংলা ও ইংরেজিতে নাম, গুণাগুণ লিখে আমাদের অবাক করে দিয়েছে। আয়োজনটির জন্য শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’

SOURCE : কালের কণ্ঠ

Also Published In