বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল। লন্ডনের এক্সেল এক্সিবিশন সেন্টারের ‘নাইটিঙ্গেল হাসপাতাল’ এবং মাদ্রিদের আইএফইএমএ কনভেনশন সেন্টারের আদলে কনভেনশন সেন্টারকে রূপান্তরিত করে হাসপাতালটি তৈরি করা হয়েছে।
এর আগে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ১০ দিনে হাসপাতাল তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। ঢাকার এ হাসপাতালটি তৈরি হলো ২১ দিনে। অবকাঠামো অবশ্য আগেই বানানো ছিল। শুধু বসানো হয়েছে শয্যা ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি। সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলা এ খবর জানিয়েছে।
বেসরকারি উদ্যোগ বসুন্ধরা গ্রুপ তাদের জমি ও অবকাঠামো ব্যবহার করতে দিলেও হাসপাতাল বানানোর মূল কাজটি করছে বাংলাদেশ সরকারই।
ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার পাশে আইসিসিবি-ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার চারটি কনভেনশান সেন্টার এবং একটি প্রদর্শনী তাঁবুতে গড়ে উঠেছে দেশের সবেচেয়ে বড় এ কোভিড-১৯ হাসপাতাল।
বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর জানান, এ হাসপাতাল নির্মাণের জন্য প্রায় আড়াই লাখ বর্গফুট জায়গা তারা সরকারকে অস্থায়ীভাবে ব্যবহার করতে দিয়েছেন।
হাসপাতালে যা থাকছে
অস্থায়ী হাসপাতালটি নির্মাণের দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, তিনটি কনভেনশন সেন্টার ও একটি প্রদর্শনী তাঁবুতে দুই হাজার ১৩টি শয্যা পাতা হয়েছে।
মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এখানে আক্রান্তদের আইসোলেশন করে রাখা হবে এবং পোর্টেবল অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। কোনো রোগীর যদি পোর্টেবল অক্সিজেন লাগে অথবা অন্য কিছু লাগে, যাতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যায় এবং চিকিৎসকরা যেন তাঁদের রুমে বসে প্রত্যেক রোগীকে দেখতে পারেন, সে জন্য ক্লোজ সার্কিট টিভির ব্যবস্থা করা হয়েছে। মনিটরটি চিকিৎসকের কক্ষে থাকবে, উনি দেখতে পাবেন।’
তবে, দুই হাজারের বেশি শয্যা পাতা হলেও কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত রোগীর জন্য জরুরি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ইউনিট ও ভেন্টিলেশন সুবিধা এখনো সংযোজন করা হয়নি।
তবে এসব সুবিধার জন্য বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারের একটি ইউনিটে ৪৫ হাজার বর্গফুট জায়গা প্রস্তুত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় এখনো এটি আটকে আছে, বলছেন কর্মকর্তারা।
কবে চিকিৎসা শুরু হবে?
গত ১৪ এপ্রিল থেকে কাজ শুরু করে এরই মধ্যে দুই হাজারের বেশি শয্যা পাতা হলেও, কবে থেকে রোগীদের সেবা দেওয়া হবে তা চূড়ান্ত হয়নি।
এ বিষয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর জানান, তাঁরা সরকারকে তাঁদের কনভেনশন সেন্টারগুলো এবং এর সঙ্গে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা যেমন, বিদ্যুৎ, গ্যাস পানি ইত্যাদি ব্যবহার করতে দিচ্ছেন। তবে চিকিৎসক, সেবিকা বা যন্ত্রপাতি এসবের ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে।
আনভীর বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব হলো জায়গাটা দেওয়া। এখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে। গ্যাস, বিদ্যুৎসহ সব ধরনের বন্দোবস্ত আছে। ডাক্তার, নার্স আর মেডিকেল যন্ত্রপাতি ছাড়া সবই আছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘ডাক্তার ও নার্সের দায়িত্ব সরকারের, এটা আমাদের দায়িত্ব নয়।’
কতজন চিকিৎসক, সেবিকা ও স্বাস্থ্যকর্মী লাগবে?
অস্থায়ী হাসপাতালটি পরিচালনার জন্য এরই মধ্যে একজন পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। হাসপাতাল পরিচালনার খুঁটিনাটি বিষয়গুলো এখনো চূড়ান্ত না হওয়ায় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
তবে এ প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, দৈনিক আট ঘন্টা করে তিন ধাপে দায়িত্ব পালনের জন্য ৩১৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ৬৩০ জন মেডিকেল অফিসার, এক হাজার ২৬০ জন সিনিয়র নার্স এবং দুই হাজার ৫২০ জন স্টাফ নার্সের জন্য চাহিদাপত্র প্রস্তুত করেছেন তাঁরা।
চাহিদাপত্র অনুযায়ী চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য সেবাকর্মী পেলে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া শুরু করা যাবে।
মহামারি শেষ হলে এ হাসপাতালের ভবিষ্যৎ কী?
সায়েম সোবহান আনভীর জানান, সামাজিক দায়িত্ব থেকেই তাঁরা হাসপাতাল তৈরির জন্য সরকারকে জায়গা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ২৬টি প্রতিষ্ঠান আছে, যার প্রতিটি থেকে লাভ করি। একটি প্রতিষ্ঠান থেকে আয় না করলে কিছু হবে না।’
সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, ‘দেখুন দুনিয়াতে একটা সংকট চলছে এখন। একটি বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটা আমাদের দায়িত্ব এ মূহুর্তে সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করা।’
করোনাভাইরাস মহামারী শেষে এ অস্থায়ী হাসপাতালকে তাঁরা স্থায়ী হাসপাতালে রূপান্তরিত করবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আনভীর বলেন, ‘দেখুন আমরা ব্যবসায়ী, কত ধরনের কত কিছু হতে পারে। এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে অনেক কিছুই তো হতে পারে, তাই না?’
SOURCE : RED TIMES৫৩ লাখ টাকার সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের
Bashundhara Foundation Distributes Tk 5.3 Million in Interest-Free Loans
বসুন্ধরা গ্রুপের শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছে জাবির ১১৬ জন শিক্ষার্থী
Bashundhara Group Supports 116 JU Students with Scholarships
কসবায় বসুন্ধরার সহায়তায় চক্ষু চিকিৎসা পেল ৫০০ রোগী
500 Patients Receive Eye Treatment in Kasba with Bashundhara Group’s Support
৬০ জন দরিদ্র মহিলাকে সেলাই মেশিন দান করলো বসুন্ধরা শুভসংঘ
Bashundhara Shuvosangho Donates Sewing Machines to 60 Poor Women in Bancharampur
বসুন্ধরা গ্রুপ বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখছে
Bashundhara Group Keeps Underprivileged Students' Dreams Alive