All news

বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের যাত্রা শুরু

বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের যাত্রা শুরু

বিশ্বমানের পড়াশোনা, সুবিশাল মাঠ, খেলাধুলার অবারিত সুযোগসুবিধা নিয়ে যাত্রা করেছে বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এন ব্লকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গতকাল বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে স্বপ্নের এ স্কুল এন্ড কলেজের আনুষ্ঠানিক যাত্রার শুভ উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান এবং পরিচালক ইয়াশা সোবহান। স্কুলের নামফলক উন্মোচনের পরে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ সফলতা কামনা করা হয়। পরে অতিথিরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির  শ্রেণিকক্ষ ও পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন। জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমি মনে করি একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সফলতা নির্ভর করে চারটি স্টেকহোল্ডারের ওপর। এর মধ্যে প্রথম স্টেকহোল্ডার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, দ্বিতীয় স্টেকহোল্ডার শিক্ষক ও স্টাফরা, তৃতীয় স্টেকহোল্ডার শিক্ষার্থীরা এবং চতুর্থ স্টেকহোল্ডার হচ্ছেন অভিভাবকরা। এসব একত্রে মিললেই একজন শিক্ষার্থী সফল হয়ে উঠবে। আমি এ প্রতিষ্ঠানের সফলতা কামনা করছি।’

স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, ১০ বিঘা জমির ওপর আধুনিক স্থাপত্যশিল্পের ছোঁয়ায় গড়ে উঠেছে বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের সাত তলা ক্যাম্পাস। প্রাথমিকভাবে জাতীয় শিক্ষাক্রমের বাংলা ও ইংলিশ ভার্সনে স্কুলে নার্সারি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাকার্যক্রম চালু হচ্ছে। এ স্কুলের কারিকুলাম এমনভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে যেন শিক্ষার্থীদের প্রতিভার বিকাশ ঘটে। স্কুলে প্রবেশ করার জন্য শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল আইডি কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ কার্ড ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা বাস সার্ভিস, ক্যাফেটেরিয়া এমনকি টিউশন ফি পর্যন্ত দিতে পারবে। কার্ড ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের স্কুলপ্রাঙ্গণ ত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে। ক্যাশলেস লেনদেনে ভূমিকা রাখবে এ ডিজিটাল আইডি কার্ড। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সখ্য গড়ে তুলতে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। ইন্টার‌্যাকটিভ লার্নিং প্ল্যাটফরম, অনলাইন রিসোর্স এবং ডেটাবেজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিশ্বব্যাপী তথ্যের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে পারবে। আরও জানা যায়, এ স্কুলে শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন খেলাধুলার সুযোগ রাখা হয়েছে। যেমন ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, কাবাডি, সাঁতার ইত্যাদি। স্বনামধন্য প্রশিক্ষক দিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে স্কুল মাঠের গি  পেরিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার জগতে নিজেদের মেলে ধরতে পারবে শিক্ষার্থীরা। শিশুদের প্রতিভা বিকাশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে গৌরবান্বিত হবে বাংলাদেশ।

SOURCE : বাংলাদেশ প্রতিদিন