শীতের সকালে বিশেষ শিশুদের (প্রতিবন্ধী শিশু) নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান অন্যরকম এক রঙ ছড়িয়ে দিলো। দিনভর তাদের ছিল প্রাণ খুলে হাসাহাসি, হইহুল্লোড়, খেলাধুলা আর তাদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এসব অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার পাশাপাশি প্রতিযোগিতাসহ নানা আয়োজনে বিশেষ এ শিশুদের দেখা গেছে প্রাণবন্ত। সঙ্গে আসা শিশুদের অভিবাবকরাও ছিলেন নির্ভর ও পরিতৃপ্ত। এমনই মুগ্ধকর পরিবেশনায় শেষ হলো দেশের বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে বিশেষ শিশুদের (প্রতিবন্ধী শিশু) নিয়ে ‘উইন্টার ক্যাম্প ২০১৫ উইথ ন্যাশন চাইল্ড’। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় (ব্লুক আই) বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরার চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও পরিচালক ইয়াশা সোবহান। সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আফরোজা বেগম। অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিল বসুন্ধরা পেপারস মিলস লিমিটেড ও বিশেষ শিশুদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা সুইড বাংলাদেশ। বেলা সাড়ে ৯টার দিকে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেই দেখা পাওয়া যায় বিশেষ এসব শিশুরা আয়োজকদের দেয়া লাল টি-শার্ট পরে নিজেদের মতো করে আনন্দে মেতে ওঠেছে। গতকাল দুপুরে তা রীতিমতো উৎসবে পরিণত হয়ে চলে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। এর পর ‘উইন্টার ক্যাম্প ২০১৫ উইথ ন্যাশন চাইল্ড’ এর একটি ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজের লোগো উন্মোচন করেন ইয়াশা সোবহান। এর পর শুরু হয় এসব শিশুদের খেলাধুলা, সাংস্কৃৃতিক, নৃত্য প্রতিযোগিতা। ১৫ বছরের কম ও ১৫ প্লাস দুই ভাগে ভাগ করে এসব প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। দুপুরের পরে অতিথিদের নৃত্য পরিবেশন করে বিশেষ শিশুরা। শিশুদের নৃত্য ও গান পরিবেশনায় অতিথিরা মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। নৃত্য ও গান পরিবেশনা শেষে দৌড়, সফট বল নিক্ষেপ, নৃত্য, চিত্রাঙ্কন, গানসহ ৯টি ইভেন্টে ২৭ জনকে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও প্রাইজমানি দেয়া হয়। সবশেষে প্রতিজনকে দেয়া হয় প্রাইজমানি ও আকর্ষণীয় উপহার। সমাপনী অনুষ্ঠানে ‘উইন্টার ক্যাম্প ২০১৫ উইথ ন্যাশন চাইল্ড’ মূল উদ্যোক্তা ইয়াশা সোবহানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আফরোজ বেগম বলেন, আজকেই প্রথম পরিচয় হলাম ন্যাশন চাইল্ডের সঙ্গে। খুবই ভালো লাগলো। এ আয়োজন সব সময় থাকবে জানিয়ে বিশেষ এসব শিশুদের উদ্দেশ্য আফরোজ বেগম বলেন, তোমরা খেলাধুলা ও পড়াশোনা চালিয়ে যাবে। তোমাদের পাশে সবসময় বসুন্ধরা থাকবে। মূল উদ্যোক্তা ও ফাউন্ডার ইয়াশা সোবহান বলেন, অনেক স্বপ্ন আছে তোমাদের নিয়ে। যেন আরো কিছু করতে পারি সেই চেষ্টা করে যাব। আমি অনেক খুশি আজকের তোমাদের সঙ্গে সময় কাটাতে পেরে। সবশেষে তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপনী ঘোষণা করেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট গ্রুপের (বিডিজি) ভাইস চেয়ারম্যান দিলারা মুস্তফা, ডিরেক্টর রাবিয়া মেহের মাহমুদ, সুইড বাংলাদেশের মহাসচিব জওয়াহেরুল ইসলাম মামুন, পরিচালক (স্পোর্টস এন্ড কালচারাল) কাজী বিলকিস বেগমসহ বসুন্ধরা গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সুইড বাংলাদেশ জানায়, অনুষ্ঠানে তাদের ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ জেলার ১১টি শাখা থেকে ১৫৫ জন বিশেষ শিশু (প্রতিবন্ধী) অংশ নেন। এসব শিশুদের সঙ্গে তাদের অভিভাবকও ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি।
বসুন্ধরা গ্রুপের দুই কোম্পানিকে সম্মাননা মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের
Bashundhara Group’s Units Recognised as Highest Revenue Contributors to Mongla Port
হোমনায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ
Bashundhara Foundation Distributes Interest-Free Loans in Homna
বসুন্ধরার উদ্যোগে বিনা মূল্যে চিকিৎসা পেলেন ৫ শতাধিক রোগী
কুষ্টিয়ায় বসুন্ধরা আই হসপিটালের সেবা পেলেন ১২,৫০০ মানুষ
Bashundhara Eye Hospital Provide Free Eye Treatment to 12,500 People in Kushtia
সিলেটে বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Distributes Sewing Machines in Sylhet
বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় শত বাধা পেরিয়ে সফল তারা