আর সব শিশুদের মতো নয় এতিম শিশুদের জীবনযাপন। এতিমখানার একটি নির্দিষ্ট গন্ডিতেই বন্দি ওদের শৈশব-কৈশর। তাদের আবদারের জায়গা নেই, অভিমানের অধিকার নেই। জীবনজুড়ে কেবল নিস্তব্ধতা। কিন্তু পরম দয়ালু সৃষ্টিকর্তা তার সকল মাখলুকাতের খবর রাখেন। আর নিজের প্রিয় ব্যক্তিদের হাত দিয়ে এই এতিমদের জন্য আনন্দ আর খুশির ব্যবস্থা করেন। এমনই এক মানবদরদী মমতাবান ব্যক্তিত্ব দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর। নিজের জন্মদিন উদযাপন করলেন ভিন্ন আমেজে। আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন প্রায় ১১ হাজার এতিম শিশুর সঙ্গে। সায়েম সোবহান আনভীরের উসিলায় আজ তৃপ্তির হাসিতে ভরে উঠেছে বিপুল সংখ্যক এতিম শিশুর মুখ। সায়েম সোবহান আনভীরের জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ১৭টি এতিমখানার প্রায় ১১ হাজার এতিম শিশু পেয়েছে সুস্বাদু আহার। এতিমদের জন্য বৃহৎ এই খাবারের আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ও উপাদান কেবলই ভালোবাসা। ধূমকেতুর গতিতে চলা এই শহরে অনেকটাই মন্থর এতিম শিশুদের জীবন। সবাই যখন জোয়ারের টানে আগাতে থাকে তখন ভাটার টান কেবল তাদের পেছনেই টানতে থাক। কিন্তু তাদের হাত বাড়িয়ে টেনে তোলার স্বপ্ন সারা বেলা যার চোখ জুড়ে থাকে, তিনি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর। নিজের জন্মদিনের আনন্দকে তিনি আড়ম্বরতা আর আভিজাত্যের চোখ ধাঁধানো উদযাপনে সীমাবদ্ধ না করে তা ছড়িয়ে দিয়েছেন এতিম শিশুদের মনজুড়ে। শুভ এই দিনটিকে অসাধারণ করে রাখলেন উপহার নিয়ে নয়, উপহার দিয়ে। গতকাল গভীর রাতকে উপেক্ষা করে আগুনের আঁচ আর আর ইস্পাত-লোহার নাড়াচাড়ায় রান্না হয় হাড়িভর্তি সুস্বাদু আহার। দানায় দানায় ছড়িয়েছে মমতার সুবাস। শীতকে উষ্ণতায় রূপান্তর করে বিরামহীনভাবে রান্নার কাজ চালিয়ে গেছেন বিপুল সংখ্যক বাবুর্চি। এই মহা আয়োজন চলেছে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত। সায়েম সোবহান আনভীরের জন্মদিন উপলক্ষে এই সুন্দর আয়োজনের খোঁজখবর নিতে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এ যেন এক নতুন সকাল। অন্যদিনের চেয়ে একটু ভিন্ন আবহাওয়া এতিম এই শিশুদের চারপাশজুড়ে। কারো আনন্দের বহিঃপ্রকাশ এই শিশুদের হাসি দিয়ে হয়েছে আজ। হাজার হাজার এতিম শিশুদের খাবারের থালা পূর্ণ রয়েছে আদর-স্নেহের দানায়। এদিকে, দূর থেকে পাওয়া এমন অভূতপূর্ব ভালোবাসা পেয়ে কোমল হাতগুলো জড়ো হয়েছিলো মোনাজাতে। শিশুদের আবেগী আধো আধো কথায় উঠে এসেছে সৃষ্টিকর্তার প্রতি ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা। যাঁর উসিলায় তৃপ্তি পেয়েছে, সেই মানবদরদীর জন্যে ছিল সৃষ্টিকর্তার কাছে নানা আরজি। এতিম শিশুদের থেকে পাওয়া এই দোয়াই তার জীবনের সবচেয়ে মহামূল্যবান উপহার। এই উপহারের লোভ তিনি উপেক্ষা করতে পারেন না, যেমন পারেন না নিষ্পাপ অসহায় এই শিশুদের ভুলে থাকতে। অসহায়ত্ব নিয়েই এই পৃথিবীতে একটি শিশু আসে। তখন তার সহায় হয়ে উঠে তার জন্মদাতা পিতা মাতা। তাদের স্নেহ-মমতা, উপদেশ, সুরক্ষায় শিশুটি অঙ্কুর থেকে সুবিশাল বট বৃক্ষ হয়ে উঠে ধীরে ধীরে। ঠিকানাবিহীন এই শিশুদের প্রতি সায়েম সোবহান আনভীরের অভূতপূর্ব ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন এতিমখানার ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও।
SOURCE : News 24বসুন্ধরা আই হসপিটালের সহায়তায় চিকিৎসা পেলেন ৬ শতাধিক মানুষ
Bashundhara Eye Hospital Provides Free Eye Treatment to Around 600 People
কুষ্টিয়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের পক্ষ থেকে অসহায়দের মাঝে কম্বল বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Distributed Blankets Among Needy People in Kushtia
বসুন্ধরা শুভসংঘের শিক্ষা উপকরণ উপহার পেয়ে খুশী শিক্ষার্থীরা
The Students are Happy to Receive the Educational Materials of Bashundhara Shubasangha
তারাকান্দায় মাদরাসাছাত্রদের বসুন্ধরা শুভসংঘের মাদুর উপহার
Mats Gifted by Bashundhara Shuvosangho to Madrasa Students in Tarakanda
বসুন্ধরা আই হসপিটালের সহযোগিতায় বিনামূল্যে চিকিৎসা পেলেন শিবচরের ৫ শতাধিক মানুষ
বোয়ালখালীতে ২০ অসচ্ছল নারী পেলেন বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন