স্বর্ণ ও ভূমিতে বিনিয়োগে পৃথিবীতে কখনো লোকসান হয়নি। আপাতত বাংলাদেশে দুটি খাত আছে নিরাপদ বিনিয়োগের। একটি হলো জমি, যার দাম গত ২০ বছরেও কমেনি। অন্যটি হলো স্বর্ণ, গত ২০ বছরে এর দামও কমেনি। গতকাল ‘বাজুস ফেয়ার-২০২৩’-এর উদ্বোধন শেষে ‘নারীর ঐতিহ্য, নারীর গহনা’ শীর্ষক সেমিনারে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর এ কথা বলেন।
বাজুসের আয়োজনে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) দ্বিতীয়বারের মতো দেশের অলংকার খাতের বৃহৎ এ মেলা শুরু হয়েছে গতকাল। চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সকালে আইসিসিবির নবরাত্রি হলে ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন সায়েম সোবহান আনভীর। এ সময় বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাবরিনা সোবহানসহ বাজুস নেতারা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের পর মেলার প্রথম ক্রেতা হিসেবে একটি হীরার আংটি কিনে সহধর্মিণী সাবরিনা সোবহানকে উপহার দেন বাজুস প্রেসিডেন্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০৪১-এর সফল বাস্তবায়ন ও দেশের জুয়েলারি শিল্পীদের হাতে গড়া অলংকার দেশে-বিদেশে তুলে ধরতে এবং এর পরিচিতি বাড়াতে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।
মেলায় সারা দেশের স্বনামধন্য জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলো তুলে ধরেছে আধুনিক ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের চোখধাঁধানো নানা অলংকার। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই মেলায় স্বর্ণালংকার কিনলে দিচ্ছে মজুরিতে মূল্যছাড়। হীরার গহনায়ও ১৫ থেকে ৩৫ ভাগ পর্যন্ত মূল্যছাড় দিচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া র্যাফল ড্রতে ক্রেতাদের জন্য হেলিকপ্টার রাইড, গহনা, ইলেকট্রনিকস পণ্য, নগদ অর্থসহ রয়েছে আকর্ষণীয় নানা পুরস্কার। এবার বাজুস ফেয়ারে ৮টি প্যাভিলিয়ন, ১২টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ৩০টি স্টলে দেশের ঐতিহ্যবাহী ৫০টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বাজুস ফেয়ার ক্রেতা-দর্শনার্থীর জন্য উন্মুক্ত। বাজুস ফেয়ারে প্রবেশ টিকিটের মূল্য জনপ্রতি ১০০ টাকা। তবে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের টিকিট লাগবে না। মেলায় ক্রেতাদের জন্য র?্যাফল ড্রর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্রেতারা যে প্রতিষ্ঠানের অলংকার কিনবেন, সেই প্রতিষ্ঠান থেকেই র?্যাফল ড্রর কুপন সংগ্রহ করবেন। মেলায় ‘নারীর ঐতিহ্য, নারীর গহনা’ ও ‘সেলিব্রেটিদের গহনা ভাবনা’ শীর্ষক দুটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনের পরপরই বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় ‘নারীর ঐতিহ্য, নারীর গহনা’ শীর্ষক সেমিনার। সেমিনারে বাজুস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘গত ২০ বছরে সোনার দাম ১৫ গুণ বেড়েছে। এজন্য নিরাপদ বিনিয়োগ বা সম্পদ হিসেবে স্বর্ণ কিনলে খাঁটি স্বর্ণ কেনা উচিত। আমি দ্বিতীয়বারের মতো বাজুস মেলায় এসে আনন্দিত। এখানে একটি বিষয় বারবার ঘুরেফিরে আসছে। তা হলো, স্বর্ণের দাম বেশি। কিনতে গেলে দাম বেশি, বিক্রি করতে গেলে দাম কম। যদি কেউ খাঁটি স্বর্ণ কেনেন তাহলে বিক্রির সময় দামে ব্যবধান হবে না। জুয়েলারি কেনার সময় দেখতে হবে কাচের টুকরো, মিনা বা ডায়মন্ড আছে কি না। ভ্যালুয়েশন কিন্তু এভাবে হয়। সম্পদ হিসেবে গোল্ড কিনলে পিউর গোল্ড কিনতে হবে। কাচের টুকরো সঙ্গে নেবেন না। তাহলে বেচার সময় এই দুঃখটা থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘স্বর্ণের দাম আমরা নির্ধারণ করি না। আন্তর্জাতিক বাজারে নির্ধারণ করা হয়। এর আঙ্গিকে দেশে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশে ২০ বছর আগে স্বর্ণের দাম প্রতি ভরি ছিল ৬ হাজার টাকা। বর্তমানে ৯০ থেকে ৯২ হাজার টাকা। অর্থাৎ ২০ বছরে ১৫ গুণ দাম বেড়েছে। সবাই যদি স্বর্ণকে সম্পদ হিসেবে চিন্তা করেন, তাহলে আগামী ২০ বছরে কী হতে পারে? এখন ৯০ হাজার, তা পরে ৯ লাখও হতে পারে। এভাবে চিন্তা করতে হবে।’
সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন নিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রধান বার্তা সম্পাদক শাহনাজ মুন্নী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাজুসের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজনেস এডিটর রুহুল আমিন রাসেল। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাবরিনা সোবহান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য জিন্নাতুল বাকিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শিরিন আখতার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, নিউজ টোয়েন্টিফোরের নির্বাহী সম্পাদক রাহুল রাহা, সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য তিলোত্তমা শিকদার, ইডেন সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা, বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়াল, বাজুসের সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, বাজুস প্যানেল ল ইয়ার ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ প্রমুখ। সবাই সৌন্দর্যের পাশাপাশি নিরাপত্তা ও সম্পদ হিসেবে স্বর্ণের গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
বিকালে বাজুসের সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়ের সভাপতিত্বে দেশের শোবিজ অঙ্গনের জনপ্রিয় তারকাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ‘সেলিব্রেটিদের গহনা ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম ও কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। শোবিজ তারকাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহের আফরোজ শাওন, অপু বিশ্বাস, পিয়া জান্নাতুল, নিপুণ আক্তার, বিদ্যা সিনহা সাহা মিম, জাহারা মিতু, জ্যোতিকা জ্যোতি, সাবরিনা সুলতানা কেয়া, সোমনুর কোনাল, ইয়ামিন হক ববি, বর্ষা, বারিষ হক প্রমুখ। সেমিনারে বাজুসের পাবলিকেশনের মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন উপস্থিত ব্যক্তিরা। এরপর বাজুসের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। শোবিজ তারকারা বক্তব্যে অলংকার নিয়ে তাঁদের ভাবনা তুলে ধরেন।
‘নারীর ঐতিহ্য, নারীর গহনা’ শীর্ষক সেমিনারে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান এমপি বলেন, নারীরা শুধু একা একচেটিয়া গহনা পরেন না। পুরুষরাও গহনা পরেন। স্বর্ণের মূল্য এবার ইতিহাসে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু স্বর্ণের গহনার মূল্য বৃদ্ধি পেলেও বিয়ে কিন্তু থেমে নেই। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, গহনা কেনা এক ধরনের বিনিয়োগ। বিশেষ করে নারীরা সেভাবে সম্পত্তিতে অধিকার পান না। কিন্তু বিয়েতে একজন নারীকে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য গহনা দেওয়া হয়। শিল্পের কথা চিন্তা করলে স্বর্ণের গহনা বিশাল একটি শিল্প। প্রতি বছর এ শিল্পে ২ লাখ কোটি টাকার ব্যবসা হয়। জাসদ সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শিরিন আখতার বলেন, স্বর্ণ একটি মূল্যবান জিনিস এবং প্রয়োজনীয় অলংকার। আদিকাল থেকে নারী ও পুরুষরা স্বর্ণের গহনা ব্যবহার করে আসছেন। নারীরা গহনার পাশাপাশি সম্পদ হিসেবেও স্বর্ণকে গুরুত্ব দেন। স্বর্ণের অলংকারের ব্যবহার সব শ্রেণির মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হলে খ্বু অল্প স্বর্ণ দিয়ে গহনা তৈরি করা দরকার। নারীদেরও সোনার কারিগর হিসেবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন উইমেন অ্যাফেয়ার্সের ভাইস চেয়ারম্যান সোহানা রউফ চৌধুরী বলেন, সোনার গহনা নারীদের কাছে বড় একটি বিনিয়োগ। এজন্য মূল্য বৃদ্ধি পেলেও যে নারীরা এর মালিক তারা খুশি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য তিলোত্তমা শিকদার বলেন, ‘গহনা শুধু নারীর ঐতিহ্য নয়। বহু আগে পুরুষরা যুদ্ধে যেতে বা প্রতিপত্তি দেখাতে স্বর্ণের গহনা ব্যবহার করতেন। আমরা জানতে পেরেছি বাজুস সামনের বছর থেকে দেশে স্বর্ণ উৎপাদন করবে। এটি আমাদের জন্য আশার খবর।’ অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামীতে জুয়েলারি বিষয়ে লেখাপড়ার জন্য বাজুস একটি ইনস্টিটিউট তৈরি করবে। আর গহনাশিল্পে বিশেষ অবদান রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের বাজুস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। ‘সেলিব্রেটিদের গহনা ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে মূল অংশের উপস্থাপনা করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। তিনি অভিনেত্রী ও কণ্ঠশিল্পী মেহের আফরোজ শাওনকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে আমন্ত্রণ জানান। শাওন বলেন, ‘স্বর্ণের গহনা নিয়েই বাজুস মেলা। আমার কাছে স্বর্ণের গহনা একটা ঐতিহ্যের বিষয়। একসময় বিশেষ উপলক্ষ অর্থাৎ বিয়ের সময় স্বর্ণের অলংকারের প্রচলন ছিল। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে নারীরা স্বর্ণের অলংকার ব্যবহার করতেন। এখন স্বর্ণালংকার শখের অনুষঙ্গ। সৌন্দর্যের প্রতীক। আমি মনে করি, আমার গহনা আমার সৌন্দর্য, আমার রুচিবোধ, আমার ব্যক্তিত্ব, আমার নৈতিকতা। বাজুস মেলা আমার কাছে অসাধারণ উদ্যোগ মনে হয়েছে। বাংলাদেশে তৈরি গহনা মানে “মেড ইন বাংলাদেশ” নামাঙ্কিত গহনা। বহির্বিশ্বে এমনটা দেখতে পারা সম্মানের।’
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি স্বর্ণ কখনো পরিনি। বিয়ের পর ঘড়িও পরিনি। তবে আমি মনে করি, এই ইন্ডাস্ট্রির প্রয়োজনীয়তা ও সম্ভাবনা প্রচুর। রপ্তানি বহুমুখীকরণ করার ক্ষেত্রে এখন যেমন আইসিটি খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তেমনি জুয়েলারি শিল্পও প্রাধান্য পাবে। ভবিষ্যতে আমাদের দেশ থেকে কয়েক মিলিয়ন ডলারের এক্সপোর্ট করা যাবে।’
বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, ‘গহনা সবার জন্য। এ ক্ষেত্রে নারী বা পুরুষ বিবেচ্য নয়। সারা পৃথিবীতে গহনা সেলিব্রেটি ও নন-সেলিব্রেটি সবাই পরেন। আগে তো রাজা-রানি উভয়েই গহনা পরতেন। বর্তমানেও স্বর্ণের অলংকার সবাই পরতে পছন্দ করেন। তাই বাংলাদেশেও স্বর্ণ উৎপাদন বড় করে শুরু হতে যাচ্ছে। আমার বিশ্বাস, বাজুসের এ উদ্যোগ বিশ্বের স্বর্ণের বাজারে বাংলাদেশের নতুন একটি জায়গা সৃষ্টি করবে।’ অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস সেলিব্রেটিদের গহনা ভাবনা নিয়ে বলেন, ‘আমার কাছে সেলিব্রেটি থেকে নারীদের গহনা ভাবনা বেশি প্রযোজ্য। সন্তান জন্মের পর স্বর্ণের জিনিস গিফট দেওয়া হয়। সন্তানের পরীক্ষায় পাসের পরও তাকে স্বর্ণালংকার দেওয়া হয়। ছেলেদের থেকে মেয়েরাই মূলত গহনা বেশি পছন্দ করেন। এটা সৌন্দর্যের পাশাপাশি আর্থিক নিরাপত্তা দেয়।’
অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, সিনেমার চরিত্রে গহনা পরতে হয়। বাজুস বা জুয়েলারি শিল্প সিনেমা স্পনসরে এগিয়ে এলে ভালো হতো।
অভিনেত্রী কেয়া বলেন, ‘গহনা পরতে আমার খুবই ভালো লাগে। স্বর্ণ তো আরও ভালো লাগে। আমি বাজুস ফেয়ারের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি।’
ইয়ামিন হক ববি বলেন, নারীকে অলংকার ছাড়া ভাবাই যায় না। নারীকে অলংকার থেকে আলাদা করা যায় না। এ ছাড়া অভিনেত্রী নিপুণ, মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল, বিদ্যা সিনহা সাহা মিম, জাহারা মিতু, সোমনুর কোনাল, বর্ষা, বারিষ হকসহ অনেকেই সেলিব্রেটিদের গহনা ভাবনা নিয়ে মতামত দেন।
SOURCE : বাংলাদেশ প্রতিদিনবসুন্ধরা গ্রুপের দুই কোম্পানিকে সম্মাননা মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের
Bashundhara Group’s Units Recognised as Highest Revenue Contributors to Mongla Port
হোমনায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ
Bashundhara Foundation Distributes Interest-Free Loans in Homna
বসুন্ধরার উদ্যোগে বিনা মূল্যে চিকিৎসা পেলেন ৫ শতাধিক রোগী
কুষ্টিয়ায় বসুন্ধরা আই হসপিটালের সেবা পেলেন ১২,৫০০ মানুষ
Bashundhara Eye Hospital Provide Free Eye Treatment to 12,500 People in Kushtia
সিলেটে বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Distributes Sewing Machines in Sylhet
বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় শত বাধা পেরিয়ে সফল তারা